ভুল থেকে শিক্ষা নেয়নি বাংলাদেশ। গতবছর মার্চে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ম্যাচে হাসির খোরাক হয়েছিল তারা। এক বছর পরে ঠিক একইভাবে নিজেদের হাসির খোরাক করেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। এবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্টে সেই একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করে বাংলাদেশ।
গতবছর মীরপুরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে তাস্কিন আহমেদের বল মাঝব্যাটে ডিফেন্স করেছিলেন আদিল রশিদ। স্বাভাবিকভাবেই আম্পায়ার আউট দেননি। বাংলাদেশ রিভিউ নিয়ে মাথা নীচু করেছিল নিজেদের। এবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে ফের একই কাণ্ড ঘটাল বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ৪৩.৫ ওভারে তাইজুল ইসলামের বল ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে মাঝব্যাটে ডিফেন্স করেন কুশল মেন্ডিস। তবে সকলকে অবাক করে বাংলাদেশ রিভিউয়ের আবেদন জানায়। টেলিভিশন রিপ্লে দেখেই তৃতীয় আম্পায়ার নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। ব্যাটসম্যানকে নট-আউট ঘোষণা করার জন্য আল্ট্রা এজ প্রযুক্তি ব্যবহারেরও প্রয়োজন পড়েনি।
স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের এমন রিভিউয়ের বহর দেখে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ শুরু হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। বাংলাদেশের ক্রিকেটারার নেশা করে মাঠে নেমেছিলেন বলে খিল্লি শুরু করে দেন নেটিজেনরা।
চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনেই ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় শ্রীলঙ্কা। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় দ্বীপরাষ্ট্র। তারা প্রথম দিনে ৯০ ওভার ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রান সংগ্রহ করে।
হাফ-সেঞ্চুরি করেন শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান নিশান মদুষ্কা, দিমুথ করুণারত্নে ও কুশল মেন্ডিস। করুণারত্নে ও মেন্ডিস নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন। সেট হয়েও উইকেট দিয়ে আসেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ।
শ্রীলঙ্কা ওপেনিং জুটিতে ৯৬ রান তোলে। নিশান ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০৫ বলে ৫৭ রান করে আউট হন। ১২৯ বলে ৮৬ রান করেন করুণারত্নে। তিনি ৮টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১৫০ বলে ৯৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন মেন্ডিস। তিনি ১১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ম্যাথিউজ ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৭১ বলে ২৩ রান করে ক্রিজ ছাড়েন।
প্রথম দিনের শেষে দীনেশ চণ্ডীমল ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৫৮ বলের ইনিংসে ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৭ বলে ১৫ রান করে নট-আউট থাকেন ধনঞ্জয়া ডি'সিলভা। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম দিনে হাসান মাহমুদ ২টি ও শাকিব আল হাসান ১টি উইকেট দখল করেন।