মার্ক উডের পরে আরও এক ব্রিটিশ তারকা ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়ালেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের স্কোয়াড থেকে। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে হোম ম্যাচের আগে এলএসজি শিবির নতুন ক্রিকেটার দলে নেওয়ার কথা ঘোষণাও করে দেয়।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগেউ মার্ক উড আইপিএল ২০২৪ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। লখনউ তাঁর পরিবর্ত হিসেবে দলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের শামার জোসেফকে। পরে শোনা যায় যে, ডেভিড উইলিকে টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে দলে পাবে না লখনউ। উইলি ব্যক্তিগত কারণে আইপিএল খেলতে দেরিতে ভারতে আসবেন বলে খবর ছিল। যদিও শেষমেশ টুর্নামেন্ট থেকে নাম তুলে নেন ব্রিটিশ তারকা।
উইলির পরিবর্ত হিসেবে লখনউ দলে নেয় নিউজিল্যান্ডের ডানহাতি পেসার ম্যাট হেনরিকে। হেনরি ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গত টেস্ট সিরিজে আগুনে বোলিং করেন। তিনি ওয়েলিংটনের প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৫টি ও ৩টি উইকেট নেন। পরে ক্রাইস্টচার্চের দ্বিতীয় টেস্টের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৭টি ও ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন কিউয়ি তারকা। দুই টেস্টে ১০১ রান ও ১৭টি উইকেট সংগ্রহ করে সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন হেনরি।
৩২ বছর বয়সী কিউয়ি পেসারকে লখনউ দলে নেয় তাঁর বেস প্রাইস ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে। হেনরি এর আগে পঞ্জাব কিংস ও চেন্নাই সুপার কিংস শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। তবে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে কোনও ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ হয়নি তাঁর। ২০১৭ সালে পঞ্জাব কিংসের হয়ে ২টি আইপিএল ম্যাচে মাঠে নেমে ১টি উইকেট সংগ্রহ করেন কিউয়ি তারকা। অর্থাৎ, হেনরি শেষবার আইপিএল খেলেন ৭ বছর আগে।
ম্যাট হেনরি নিউজিল্যান্ডের হয়ে এখনও পর্যন্ত ২৫টি টেস্ট, ৮২টি ওয়ান ডে ও ১৭টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। তিনি টেস্টে ৯৫টি, একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪১টি ও আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ২০টি উইকেট দখল করেন। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ১৩১টি টি-২০ ম্যাচ খেলে হেনরি ১৫১টি উইকেট দখল করেছেন।
হেনরির ব্যাটের হাত নিতান্ত মন্দ নয়। টেস্টে ৪টি হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর। সার্বিকভাবে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে মোট ৯টি অর্ধশতরান করেছেন ম্যাট। টি-২০ ক্রিকেটে ৩৭টি ও ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে ৭১টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন কিউয়ি তারকা। অর্থাৎ, দরকারের সময় বড় শট নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে হেনরির।
উল্লেখ্য, ৩৪ বছর বয়সী বাঁ-হাতি পেসার ডেভিড উইলিকে গত আইপিএল নিলাম থেকে ২ কোটি টাকার বিনিময়ে দলে নেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। সুতরাং, ব্রিটিশ পেসারের পরিবর্ত খুঁজে নিতে তুলনায় কম খরচ করতে হয় এলএসজি-কে।