নামমাত্র ব্যবধানে হেরেও নেট রান-রেটের নিরিখে প্লে-অফে যাওয়ার সুযোগ ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সামনে। তবে সেই ঝুঁকি নেননি স্মৃতি মন্ধনারা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে নিজেদের শেষ লিগ ম্যাচে দাপটের সঙ্গে হারিয়ে চলতি উইমেন্স প্রিমিয়র লিগের প্লে-অফে জায়গা করে নিল আরসিবি।
তৃতীয় দল হিসেবে এবারের ডব্লিউপিএলের প্লে-অফে জায়গা নিশ্চিত করে তারা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ক্যাপিটালস আগেই প্লে-অফের টিকিট পকেটে পুরেছে। সুতরাং, মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে আরসিবির জয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় গুজরাট জায়ান্টস ও ইউপি ওয়ারিয়র্জের।
মঙ্গলবার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আরসিবির জয়ের মঞ্চ প্রস্তুত করেন এলিস পেরি। ডব্লিউপিএলের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়ে তিনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে সস্তায় বেঁধে রাখেন। পরে ব্যাট করতে নেমেও দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন পেরি। গত ম্যাচে দুরন্ত হাফ-সেঞ্চুরি করেও আরসিবিকে জেতাতে না পারায় কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন রিচা ঘোষ। এদিন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে আরসিবিকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন তিনি।
আরসিবির বিরুদ্ধে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তারা ১৯ ওভারে মাত্র ১১৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩০ রান করেন সজীবন সজনা। ২১ বলের ইনিংসে তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ২৩ বলে ২৬ রান করেন অপর ওপেনার হেইলি ম্যাথিউজ। তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া ন্যাট সিভার ব্রান্ট ১০ ও প্রিয়াঙ্কা বালা ১৯ রানের যোগদান রাখেন। খাতা খুলতে পারেননি ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌর। আরসিবির এলিস পেরি ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রানের বিনিময়ে ৬টি উইকেট দখল করেন। উইমেন্স প্রিমিয়র লিগের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও বোলার এক ম্যাচে ৬টি উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন। এটি পেরির টি-২০ কেরিয়ারেরও সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স।
আরও পড়ুন:- ১ থেকে ৫০০, টেস্টে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মাইলস্টোন উইকেটের শিকার হয়েছেন কারা?
পালটা ব্যাট করতে নেমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ১৫ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১১৫ রান তুলে ম্য়াচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ৩০ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে আরসিবি। ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৮ বলে ৪০ রান করে নট-আউট থাকেন এলিস পেরি। ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৩৬ রান করে নট-আউট থেকে যান রিচা ঘোষ। স্মৃতি মন্ধনা ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩ বলে ১১ রান করে আউট হন। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা হন পেরি।