গুজরাট টাইটানসের মতো শক্তিশালী দলকে তাদের ঘরের মাঠে একশোর কমে আটকে রাখা সহজ নয় মোটেও। সেই কঠিন কাজটাই সহজে করে দেখায় দিল্লি ক্যাপিটালস। বুধবার আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে গুজরাট টাইটানসকে ১৭.৩ ওভারে মাত্র ৮৯ রানে অল-আউট করে দিল্লি।
আইপিএলের ইতিহাসে গুজরাট টাইটানস এই প্রথমবার ১০০-র কমে অল-আউট হয়। এখনও পর্যন্ত চলতি আইপিএলের সব থেকে কম রানের ইনিংস খেলে গুজরাট। এমন অসাধ্যসাধনের জন্য দিল্লির আঁটোসাটো বোলিংকে কৃতিত্ব দিতেই হয়। তবে তার থেকেও বেশি কৃতিত্ব প্রাপ্ত দিল্লির ফিল্ডিংয়ের।
বিশেষ করে ঋষভ পন্ত এদিন যে রকম দুর্দান্ত কিপিং করেন, তাতে যথার্থই প্রমাণিত হয় যে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কামব্যাকের জন্য পুরোদস্তুত তৈরি তিনি। পন্ত এই ম্যাচে ২টি ক্যাচ ধরার পাশাপাশি একজোড়া অনবদ্য স্টাম্প-আউট করেন। ২টি স্টাম্প-আউটের ক্ষেত্রে পন্তের দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতা চোখে পড়ে। তবে ক্রিকেটপ্রেমীদের মোহিত করে পন্তের একটি ক্যাচ।
প্রথম ইনিংসের ৪.৬ ওভারে ইশান্ত শর্মার ডেলিভারিতে মিলারের ব্যাটের কানা ছোঁয়া বল যেভাবে বাঁ-দিকে শরীর ছুঁড়ে দস্তানাবন্দি করেন ঋষভ, তেমন ক্যাচ ধরতে পারলে মহেন্দ্র সিং ধোনিও আহ্লাদে আটখানা হতেন নিশ্চিত। কার্যত মাটি থেকে বল তুলে নেন ঋষভ। যদিও ১৭.১ ওভারে মুকেশ কুমারের বলে রশিদ খানের ক্যাচ ধরতে বিশেষ কসরৎ করতে হয়নি পন্তকে।
ঋষভের দুর্দান্ত কিপিং ছাড়াও এদিন দিল্লির গ্রাউন্ড ফিল্ডিংকেও অবিশ্বাস্য বলতে হয়। সামনের দিকে শরীর ছুঁড়ে সুমিত কুমার যেভাবে সরাসরি থ্রোয়ে সাই সুদর্শনকে রান-আউট করেন, তা মনে করিয়ে দিতে পারে জন্টি রোডসের কথা। খলিল আহমেদের বলে বাউন্ডারি লাইনে মোহিত শর্মার যে ক্যাচটি ধরেন সুমিত, তাতেও তাঁর ফিল্ডিং দক্ষতার চূড়ান্ত নিদর্শন দেখা যায়।
আরও পড়ুন:- মার খেয়ে ‘হাড় গুঁড়ো’ হচ্ছে বোলারদের, IPL-এ ইমপ্যাক্ট পরিবর্ত তুলে দেওয়ার দাবি মুডির
ঘরের মাঠে গুজরাট টাইটানসের ব্যাটিং এদিন তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ে। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩১ রান করেন রশিদ খান। ২৪ বলের ইনিংসে তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। স্বাভাবিকভাবেই বড় ব্যবধানে ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হয় গুজরাটকে। পালটা ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ৮.৫ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৯২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। মূলত দুর্দান্ত কিপিংয়ের জন্যই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন দিল্লি দলনায়ক ঋষভ পন্ত।