ঘরের মাঠে ল্যাজেগোবরে হল গুজরাট টাইটানস। আমদাবাদে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে যারপরনাই লাঞ্ছিত হতে হয় শুভমন গিলদের। নিজেদের আইপিএল ইতিহাসের সব থেকে কম রানে অল-আউট হয় গুজরাট। চলতি আইপিএলের সর্বনিন্ম দলগত ইনিংস গড়ে একতরফাভাবে ম্যাচ হারে গতবারের রানার্সরা।
বুধবার নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে টস জেতেন দিল্লি দলনায়ক ঋষভ পন্ত। তিনি টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান হোম টিম গুজরাট টাইটানসকে। গুজরাট ১৭.৩ ওভারে মাত্র ৮৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়। আইপিএলে এই প্রথম ১০০-র কমে অল-আউট হয় গুজরাট।
শুরু থেকেই নিয়মিত অন্তরে উইকেট খোয়াতে থাকে গুজরাট। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩১ রান করেন রশিদ খান। ২৪ বলের ইনিংসে তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। রশিদ রান না পেলে টাইটানসকে আরও বড়সড় লজ্জার মুখে পড়তে হতো সন্দেহ নেই।
এছাড়া দুই অঙ্কের রান করেন কেবল সাই সুদর্শন ও রাহুল তেওয়াটিয়া। সুদর্শন ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৯ বলে ১২ রান করেন। তাঁকে সরাসরি থ্রোয়ে রান-আউট করেন সুমিত কুমার। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৫ বলে ১০ রান করেন তেওয়াটিয়া। ঋদ্ধিমান সাহা ২, শুভমন গিল ৮, ডেভিড মিলার ২, অভিনব মনোহর ৮, মোহিত শর্মা ২, নূর আহমেদ ১ ও স্পেনসার জনসন অপরাজিত ১ রান করেন। খাতা খুলতে পারেননি শাহরুখ খান। ১২ রান আসে অতিরিক্ত হিসেবে।
দিল্লির হয়ে ২.৩ ওভার বল করে ১৪ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন মুকেশ কুমার। ২ ওভারে ৮ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন ইশান্ত শর্মা। ১ ওভারে ১১ রান খরচ করে ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন ত্রিস্তান স্টাবস। খলিল আহমেদ ৪ ওভারে ১টি মেডেন-সহ ১৮ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট দখল করেন। ৪ ওভারে ১৭ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল।
পালটা ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ক্যাপিটালস ৮.৫ ওভারে ৯২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। যদিও তাদের ৪টি উইকেট খোয়াতে হয়। ৬৭ বল বাকি থাকে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করার পাশাপাশি নেট রান-রেটও বাড়িয়ে নেয় ক্যাপিটালস।
আরও পড়ুন:- মার খেয়ে ‘হাড় গুঁড়ো’ হচ্ছে বোলারদের, IPL-এ ইমপ্যাক্ট পরিবর্ত তুলে দেওয়ার দাবি মুডির
দিল্লির জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক ২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১০ বলে ২০ রান করেন। ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১১ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন ঋষভ পন্ত। পৃথ্বী শ ৭, অভিষেক পোড়েল ১৫, শাই হোপ ১৯ ও সুমিত কুমার অপরাজিত ৯ রানের যোগদান রাখেন।
গুজরাটের সন্দীপ ওয়ারিয়র ২টি এবং স্পেনসার জনসন ও রশিদ খান ১টি করে উইকেট দখল করেন। মূলত দুর্দান্ত কিপিংয়ের জন্যই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন ঋষভ পন্ত। তিনি ২টি অনবদ্য ক্যাচ ধরার পাশাপাশি ২টি দুর্দান্ত স্টাম্প-আউট করেন।