আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ২০১৮ সালে। যদিও এবি ডি'ভিলিয়র্স তার পরেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যান বেশ কিছুদিন। আরসিবির হয়ে আইপিএল খেলা জারি রাখেন তিনি। মূলত সেই কারণেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসার প্রস্তাব ছিল তাঁর কাছে। এবি ডি'ভিলিয়র্সকে ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলানোর চেষ্টা চালায় দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড। যদিও তাঁকে পুনরায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে ফেরানো যায়নি।
এবিডি পেশাদার ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ান ২০২১ সালে। সেবছরই শেষবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে মাঠে নামেন প্রোটিয়া তারকা। সব ধরণের পেশাদার ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রায় আড়াই বছর পরে অবাক করা এক তথ্য সামনে আনলেন ডি'ভিলিয়র্স। তিনি জানান, কেরিয়ারের শেষ দু'বছর কার্যত এক চোখের দৃষ্টিতেই খেলা চালিয়ে যান তিনি। কেননা অপর চোখের রেটিনা ছিঁড়ে যাওয়ায় তাঁর দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকে ক্রমশ।
উইজডেন ক্রিকেট মন্থলিকে ডি'ভিলিয়র্স জানান যে, তাঁর ছোট ছেলে দুর্ঘটনাবশত গোড়ালি দিয়ে তাঁর চোখে আঘাত করে বসে। তার পর থেকেই ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি হারাতে থাকেন তিনি। এবিডি এও জানান যে, যখন তিনি চোখে অস্ত্রোপচার করান, ডাক্তার আবাক হয়ে জানতে চেয়েছিলেন যে, এই চোখ নিয়ে কীভাবে তিনি ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যেতেন।
ডি'ভিলিয়র্স বলেন, ‘দুর্ঘটনাবশতই আমার ছেলে গোড়ালি দিয়ে চোখে আঘাত করে বসে। তার পর থেকেই ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকে। যখন আমি অস্ত্রোপচার করাই, ডাক্তার আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, কীভাবে এই চোখ নিয়ে সারা বিশ্বে ক্রিকেট খেলে বেড়াই। সৌভাগ্যক্রমে কেরিয়ারের শেষ দু’বছর আমার বাঁ-চোখ অসাধারণ কাজ করে।'
এবি ডি'ভিলিয়র্সের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার:-
টেস্ট: এবি ডি'ভিলিয়র্স দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১১৪টি টেস্টে মাঠে নামেন। তিনি ৫০.৬৬ গড়ে সংগ্রহ করেন ৮৭৬৫ রান। সেঞ্চুরি করেন ২২টি এবং হাফ-সেঞ্চুরি করেন ৪৬টি। তিনি টেস্টে ২২২টি ক্যাচ ধরেন এবং ৫টি স্টাম্প-আউট করেন। টেস্টে ২টি উইকেটও রয়েছে তাঁর।
ওয়ান ডে: এবিডি ২২৮টি ওয়ান ডে ম্যাচে মাঠে নেমে ৫৩.৫০ গড়ে ৯৫৭৭ রান সংগ্রহ করেন। সেঞ্চুরি করেন ২৫টি এবং হাফ-সেঞ্চুরি করেন ৫৩টি। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডি'ভিলিয়র্স ১৭৬টি ক্যাচ ধরেন এবং ৫টি স্টাম্প-আউট করেন।
টি-২০: এবি ডি'ভিলিয়র্স দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৭৮টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে মাঠে নামেন। তিনি ২৬.১২ গড়ে ১৬৭২ রান সংগ্রহ করেন। দেশের জার্সিতে টি-২০ ক্রিকেটে কোনও সেঞ্চুরি না করলেও এবিডি হাফ-সেঞ্চুরি করেন ১০টি।