Sunil Gavaskar Mother-in-Law Dies: শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিশাখাপত্তনমে শুরু হয়েছে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের পাঁচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। এই ম্যাচের প্রথম দিনেই কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকরের ওপর দুঃখের পাহাড় ভেঙে পড়েছে। আসলে তিনি ভারত বনাম ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় টেস্টে ধারাভাষ্য করার জন্য বিশাখাপত্তনমে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তিনি সেখানে থাকতে পারেননি। হঠাৎ করেই তাঁকে ভাইজাগ যেতে কানপুরে চলে যেতে হয়েছিল। আসলে, এদিন শাশুড়ির মৃত্যুর খবর পান গাভাসকর। তাই খেলার মাঝপথ থেকেই ধারাভাষ্য ছেড়ে দিতে হয়েছিল তাঁকে। হঠাৎ করেই গাভাসকরকে কানপুরে চলে যেতে হয়েছিল।
সুনীল গাভাসকর তাঁর পরিবারের সঙ্গে থাকার জন্য শুক্রবার বিকেলে কানপুরে উড়ে গিয়েছিলেন। ভারতীয় দলের সিরিজ চলাকালীন ধারাভাষ্যের জন্য গাভাসকরের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। প্রাক্তন অধিনায়ক প্রথম টেস্টের সময় হায়দরাবাদে হোস্ট ব্রডকাস্টারদের ধারাভাষ্য প্যানেলের অংশ ছিলেন। এবং তার শাশুড়ির মৃত্যু সম্পর্কে জানার আগে শুক্রবার বিশাখাপত্তনমে সম্প্রচার দলের সঙ্গে তাঁর দায়িত্ব শুরু করেছিলেন তিনি। এরপরে যখন শাশুড়ির মৃত্যুর খবর পান, তখনই কানপুর যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
সুনীল গাভাসকরের মা ২০২২ সালে মারা যান
২০২২ সালে, সুনীল গাভাসকরের মা বয়স সংক্রান্ত সমস্যার কারণে মারা যান। তার মা মীনা গাভাসকরের বয়স তখন ৯৫ বছর হয়েছিল। মায়ের মৃত্যুর সময় গাভাসকর ঢাকায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচের ধারাভাষ্য করছিলেন। আর এদিন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকরকে বিশাখাপত্তনমের এসিএ-ভিডিসিএ স্টেডিয়ামে ভারত বনাম ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টের জন্য ধারাভাষ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এদিন তাঁর শাশুড়ি পুষ্প মেহরোত্রার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরে খেলার মাঝপথে সেই দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হয়েছিল গাভাসকরকে।
কখন ঘটনাটি ঘটেছিল?
প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ম্যাচের প্রথম দিনের প্রথম সেশনে ধারাভাষ্য বক্সে ছিলেন। যখন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার আউট হন তখন শোয়েব বশিরের কথা বলছিলেন গাভাসকর। তার পরেই ধারাভাষ্য ছেড়ে দেন তিনি। এরপরে ভাইজাগ থেকে সরাসরি কানপুরে উড়ে যান তিনি।
গাভাস্কারের ক্যারিয়ার
সুনীল গাভাসকর হলেন বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ওপেনার। টেস্ট ক্রিকেটে দশ হাজার রানের মাইলফলক অতিক্রমকারী প্রথম ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। সুনীল গাভাসকর ৩৪টি টেস্ট সেঞ্চুরি করে অবসর নিয়েছিলেন। যা সেই সময়ের সবচেয়ে বড় রেকর্ড ছিল। পরে সেটি ভেঙে দেন সচিন তেন্ডুলকর। সুনীল গাভাসকর ভারতের হয়ে ১২৫টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। এই সময়ে তিনি ১০১২২ রান করেছেন। ১০৮টি ওয়ানডে ম্যাচে তাঁর নামে রয়েছে ৩০৯২ রান।সুনীল গাভাসকর হলেন বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম স্বনামধন্য কণ্ঠ। ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর গাভাসকর ক্রিকেট প্রশাসনে অনেক ভূমিকা পালন করেছিলেন।