রাজকোটে ভারত এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে শুরু হতে চলা তৃতীয় টেস্টের জন্য তাঁকে পাওযা যাবে বলে বুধবার নিশ্চিত করেছেন রবীন্দ্র জাদেজা। হায়দরাবাদ টেস্টে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন। যে কারণে বিশাখাপত্তনমে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারেননি। তবে রাজকোট টেস্টের আগে জাদেজা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং ভারতের লক্ষ্য থাকবে রাজকোটে সিরিজে ২-১ এগিয়ে যাওয়া।
রাজকোটে তৃতীয় টেস্টে তারকা অলরাউন্ডারের অন্তর্ভুক্তি ভারতের জন্য একটি স্বস্তির দীর্ঘশ্বাস। টিম ইন্ডিয়া ইতিমধ্যেই বিরাট কোহলি এবং কেএল রাহুলকে ছাড়াই খেলছে। তবে জাদেজার উপস্থিতি ভারতীয় দলকে অনেকটা ভরসা জোগাবে।
তবে, জাদেজা নিজে স্বীকার করেছেন, চোটের কথা মাথায় রেখেই তিনি কিছুটা সাবধানে খেলবেন। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি থেকে সেরে উঠতে হলে অনেকটা সময় লাগে। তাই জাদেজা যে সম্পূর্ণ ফিটনেস অর্জন করেছেন, সেরকমটা হয়তো নয়। তাই তৃতীয় টেস্টের আগে জাদেজা বলেছেন, ‘কিছুই বদলায়নি। আমাদের একই উত্তেজনা আছে, এবং একই গর্বের সঙ্গে খেলতে হবে। তবে বিষয়টি আমার ১০০ শতাংশ দেওয়া নিয়ে। কিন্তু আমার শরীরকেও রক্ষা করতে হবে। তাই একেবারে প্রয়োজন না হলে, ডাইভ না করার চেষ্টা করব।’
আরও পড়ুন: হার্দিক আর কিষানের জন্য কেন আলাদা নিয়ম, জানা গেল বোর্ড সূত্রে, আপাতত নিরাপদ ইশানের চুক্তি
ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন রবীন্দ্র জাদেজা
দ্বিতীয় টেস্টের পর জাদেজা এনসিএ-তে তীব্র পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। এবং তিন সপ্তাহের দীর্ঘ সময় তাঁর চোট সারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। গত দুই বছরে জাদেজা ঘন ঘন চোট পেয়েছেন। আসলে, গত দুই বছরে, এই নিয়ে তিনি পঞ্চম বার চোটের কারণে ম্যাচ মিস করেছেন।
২০২১ সাল থেকে জাদেজা তাঁর বুড়ো আঙুল, বাহু, পাঁজর, হাঁটু এবং সম্প্রতি তাঁর হ্যামিস্ট্রিংয়ে চোট নিয়ে জর্জরিত হয়েছেন। জাদেজা যোগ করেছেন, ‘বারবার চোটের কারণে হতাশা আসে। কিন্তু আজকাল অনেক ক্রিকেট খেলা হচ্ছে। আমার ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে আমি লুকিয়ে ফিল্ডিং করতে পারি না। যে কোনও ফরম্যাটেই একই রকম ভাবে ফিল্ডিং করি। তাই এটিও একটি কারণ হতে পারে যে, বল আমার কাছে প্রায়শই আসে। দল আশা করে যে, আমি একটি ভালো ক্যাচ ধরব এবং রান আউটে প্রভাব ফেলব। আমি আমার উপর একটু বেশি স্মার্টলি কাজ করতে পারি। শরীর এবং আমি যদি তা করতে পারি, তবে মনে করি না, তেমন কোনও সমস্যা হবে। তার পর আবার, কোনও গ্যারান্টি নেই। চোট আবার হতেই পারে। কেউ কিছু বলতে পারে না।’