শুভব্রত মুখার্জি:- ইংল্যান্ডের ব্যাজবল স্ট্র্যাটেজির ক্রিকেট নজর কেড়েছে সকলের।টেস্ট ক্রিকেটে যেন নতুন করে প্রাণের সঞ্চার করেছে এই স্ট্র্যাটেজির ক্রিকেট। ব্যাজবল ঘরানার এই ক্রিকেটে কার্যত টি-২০ স্টাইলে ব্যাটিং করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন ইংল্যান্ডের প্রায় সব ব্যাটার। এমনকী সাবেকি ঘরানার ক্রিকেট খেলতে অভ্যস্ত ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা ব্যাটার জো রুটও অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন এই ঘরানার ক্রিকেট খেলতে। যেখানে সুইপ, রিভার্স সুইপ, স্কুপ, রিভার্স স্কুপের মতো শট খেলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। চলতি টেস্ট সিরিজে প্রথম তিন টেস্টে খুব একটা ফর্মে ছিলেন না তিনি।তবে চতুর্থ টেস্টে বদলে গিয়েছে চিত্র। যেখানে প্রথম ইনিংসে শতরান করেছেন তিনি। তাঁর শতরানের পরেই ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাসকর মজার ছলে আব্দার করেছিলেন রুট যদি রিভার্স স্কুপ মেরে ৯৯ থেকে ১০০ তে পৌঁছতেন তাহলে তিনি অনেক বেশি খুশি হতেন। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে জো রুট তার জবাব দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন একথা তিনি ও ভেবেছিলেন!
প্রসঙ্গত জো রুটের অপরাজিত ১২২ রানের ইনিংসের সুবাদে মহেন্দ্র সিং ধোনির শহর রাঁচিতে দ্বিতীয় দিনে ৩৫৩ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংস শেষ করে ইংল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বেশ চাপে রয়েছে ভারতীয় দল। শোয়েব বাসির এবং টম হার্টলের ঘূর্ণির ফাঁদে পড়ে অবস্থা বেশ শোচনীয় ভারতীয় দলের। দ্বিতীয় দিন শেষে ভারত ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৯ রান করেছে। এখন ও তারা পিছিয়ে রয়েছে ১৩৪ রানে। দিন শেষে ক্রিজে রয়েছেন ধ্রুব জুড়েল এবং কুলদীপ যাদব। আর এদিন অর্থাৎ শনিবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে রুট জানিয়েছেন পরিবেশ, পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করেই তিনি কেরিয়ারের ৩১তম শতরান পেয়েছেন। এরপর গাভাসকরের মজার ছলে করা মন্তব্যের তিনি মজার ছলেই উত্তর দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন রিভার্স স্কুপ শট খেলেই শতরান পূর্ণ করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে দ্রুতই তিনি সেই ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করেন।
ম্যাচ শেষে এদিন জো রুট জানিয়েছেন, 'আমি অবশ্যই এই কথাটা স্বীকার করে নেব যে এটি (রিভার্স স্কুপ খেলার ভাবনা) আমার মাথায় কিছুক্ষণের জন্য এসেছিল। কিন্তু এই উইকেটে এই শট খেলাটা কখনো ভালো সিদ্ধান্ত নয়। এটা ক্ষণস্থায়ী, পাশাপাশি বেশ স্বার্থপর ভাবনা ছিল। যা আমার মন থেকে খুব দ্রুত সরে গিয়েছিল। আগের টেস্টের (রাজকোট) উইকেট ততটা খারাপ ছিল না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখানে বল কিছুটা নিচু হয়ে আসছে।' ভারতের বিপক্ষে চলতি সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে ভালো খেলতে পারেননি রুট।ওই ৬ ইনিংসে একবারও ত্রিশ রান করতে পারেননি। ফলে বেশ সমালোচনা হয়েছিল তাঁর। সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হন তিনি রাজকোট টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুতে রিভার্স স্কুপ করে আউট হয়ে।