শুভব্রত মুখার্জি- ২০২৩ সালটা খুব একটা খারাপ যায়নি ভারতীয় সিনিয়র ক্রিকেট দলের। ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছে ভারত। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও খেলেছে তারা। যদিও দুটি ফাইনালের কোনটাই ভারত জিততে পারেনি। ভারতীয় সিনিয়র দলের হয়ে গত বছরটা দুর্দান্ত কেটেছে শুভমন গিলের। ব্যাট হাতে বেশ ভালো ফর্মে ছিলেন তিনি। সাদা বলের ক্রিকেটে তিনি ভারতের হয়ে সাত সাতটি শতরান করেছেন। বিরাট কোহলির থেকে মাত্র একটি শতরান কম করেছেন তিনি। তবে লাল বলের ক্রিকেটে তাঁর সময়টা একেবারেই ভালো যায়নি। টেস্টে তিনি একেবারেই ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্টে মাত্র ৪৫ রান করেছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম সেঞ্চুরিয়ন টেস্টেও মাত্র ২ এবং ২৬ রান করেছেন। আর এমন আবহেই টেস্ট দলে শুভমন গিলের জায়গা পাওয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় কিপার ব্যাটার দীনেশ কার্তিক। টেস্ট দলে উল্টে রজত পাতিদার, সরফরাজ খানের মতন ব্যাটারদের অন্তর্ভুক্তির পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি।
ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দীনেশ কার্তিক জানিয়েছেন, ‘আমার মনে হয় এই দলে(টেস্ট ) শুভমন গিলের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। ওর উপর যে প্রত্যাশা ছিল তা একেবারেই ও পূরণ করতে পারেনি। আমার মনে হয় শুভমন গিল নিজেও সেটা বোঝে, উপলব্ধি করতে পারে। টেস্টে ৩০ রান গড় যে একেবারেই ভালো নয় তা নিশ্চয় ও বোঝে। ২০ টা টেস্ট ওঁর খেলা হয়ে গিয়েছে। তারপরে ও গড় ৩০ কিন্তু একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। এরপরেও সিনিয়র টেস্ট দলে সে রয়েছে নিজেকে ওঁর ভাগ্যবান মনে করা উচিত।’
তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে ওঁর জায়গাটা নির্বাচকদের নজরে রয়েছে। আমার মতে পরের টেস্টে (কেপটাউনে) ও ভালো খেলতে না পারলে ওর জায়গার উপর আরও প্রশ্ন উঠবে। আমি মনে করি মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসেবে এই মুহূর্তে ভালো অপশন হতে পারে সরফরাজ খান। আমার মনে ওঁকে নিয়ে আলাদা করে কোন প্রশ্ন নেই। আমি নিশ্চিত যে একদিন না একদিন ভারতীয় সিনিয়র দলে ও জায়গা পাবেই। ওঁকে ছাড়া তো আর আমার তেমন কোন নাম মনে পড়ছে না যে মিডল অর্ডারে খেলার যোগ্য দাবিদার। তবে আরও একটা নাম আমি বলব। আমার মতে রজত পাতিদার আরও একটা নাম হতে পারে যে খুব শীঘ্রই এই তালিকায় নিজের জায়গা করে নিতে পারে।’