একাই ৭ উইকেট নিয়েও সৌরাষ্ট্রের জয়ের সারথি হওয়া হল না পার্থর। সুদর্শন জিতিয়ে দিলেন প্রতিপক্ষ অবশিষ্ট ভারতকে। যদিও এক্ষেত্রে রেস্ট অফ ইন্ডিয়ার জয়ে মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও সৌরভ কুমারের ভূমিকাও অস্বীকার করা যাবে না।
রাজকোটে রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন সৌরাষ্ট্র বনাম অবশিষ্ট ভারতের মধ্যে ইরানি ট্রফির ম্যাচে যে স্পিনাররাই শেষ কথা বলবেন, সেটা বোঝা যাচ্ছিল একেবারে প্রথম দিন থেকেই। কেননা রাজকোটের বাইশগজে বনবন করে বল ঘুরছিল শুরু থেকেই। পিচের সম্ভাব্য গতিপ্রকৃতি অনুধাবন করেই অবশিষ্ট ভারতের ক্যাপ্টেন হনুমা বিহারী টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দু'বার ভাবেননি।
এই পিচে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা যে কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে, সেটা অনুমান করা গিয়েছিল আগে থেকেই। শেষমেশ সেটাই সত্যি প্রমাণিত হয়। মাত্র তিন দিনেই ম্যাচে যবনিকা পড়ে যায়। রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন সৌরাষ্ট্রকে হারিয়ে ইরানি ট্রফি হাতে তোলে অবশিষ্ট ভারত।
শুরুতে ব্যাট করে রেস্ট অফ ইন্ডিয়া তাদের প্রথম ইনিংসে ৯৪.৪ ওভারে ৩০৮ রান তোলে। সাই সুদর্শন ৭২ রান করেন। পার্থ ভাট ৫টি উইকেট দখল করেন। পালটা ব্যাট করতে নেমে সৌরাষ্ট্র তাদের প্রথম ইনিংসে ৮৩.২ ওভারে অল-আউট হয় ২১৪ রানে। ৫৪ রান করেন অর্পিত বাসবদা। সৌরভ কুমার নেন ৪টি উইকেট।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৯৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে অবশিষ্ট ভারত। তৃতীয় দিনে তারা তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় ১৬০ রানে। তাদের ইনিংস স্থায়ী হয় ৫২ ওভার। সাই সুদর্শন ৪৩ রান করেন। মায়াঙ্ক আগরওয়াল করেন ৪৯ রান। হনুমা বিহারী ২২ ও সরফরাজ খান ১৩ রানের সংক্ষিপ্ত যোগদান রাখেন। ৫ রান করেন যশ ধুল। খাতা খুলতে পারেননি কেএস ভরত।
দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরাষ্ট্রের হয়ে ৫৩ রানের বিনিময়ে ৭টি উইকেট নেন পার্থ ভাট। অর্থাৎ, দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনি মোট ১২টি উইকেট সংগ্রহ করেন। এছাড়া ৬৫ রানে ৩ উইকেট নেন ধর্মেন্দ্রসিং জাদেজা।
প্রথম ইনিংসের খামতি মিলিয়ে জয়ের জন্য সৌরাষ্ট্রের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২৫৫ রানের। তারা শেষ ইনিংসে ৩৪.৩ ওভারে মাত্র ৭৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ১৭৫ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতে অবশিষ্ট ভারত।
সৌরাষ্ট্রের হার্ভিক দেশাই ১৩, সামর্থ ব্যাস ১০, প্রেরক মানকড় ১২ ও ধর্মেন্দ্রসিং জাদেজা ২১ রান করেন। চেতেশ্বর পূজারা ৭ ও শেলডন জ্যাকসন ৩ রান করে মাঠ ছাড়েন।
রেস্ট অফ ইন্ডিয়ার সৌরভ কুমার ৪৩ রানে ৬টি উইকেট নেন। ২২ রানে ৩টি উইকেট নেন শামস মুলানি। ১ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন পুলকিত নারাং। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০টি উইকেট নেওয়া সৌরভ কুমার ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন। যদিও এমন ঘূর্ণি পিচে সাই সুদর্শনের দুই ইনিংসের চোয়ালচাপা লড়াই প্রশংসা কুড়িয়ে নিচ্ছে ক্রিকেটপ্রেমীদের।