ইশান কিষাণ পুরো নিজের মর্জি মতো চলছেন। আর তাতেই মারাত্মক চটেছে বিসিসিআই। রাহুল দ্রাবিড় প্রথমে তাঁকে রঞ্জি খেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ইশান তাতে মোটেও পাত্তা দেননি। এর পর বোর্ডও তাঁরে রঞ্জি খেলার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশও কানে তোলেননি ঝাড়খণ্ডের উইকেটকিপার-ব্যাটার। রঞ্জি ছেড়ে তিনি একা একাই আইপিএলের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
মানসিক অবসাদের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন ইশান। তার পর থেকেই ভারতীয় স্কোয়াডের বাইরে রয়েছেন ইশান। প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং বিসিসিআই-এর অন্যরা তাঁকে ঘোরায়া ক্রিকেটে খেলার পরামর্শ দিলেও, তিনি এখন সমস্ত ধরণের ক্রিকেটের প্রতিশ্রুতি থেকেই দূরে রয়েছেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজস্থানের বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডের ফাইনাল রঞ্জি ট্রফি এলিট গ্রুপের ম্যাচ। সেই ম্যাচটি খেলতে বিসিসিআই-এর ম্যানেজমেন্ট ইশানকে নির্দেশই দিয়েছিল। কিন্তু, উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান সেই ম্যাচটি খেলেননি। শুধু তিনিই নন, পেসার দীপক চাহার, যিনি কিছু সময়ের জন্য ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন, তিনিও রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলছেন না।
আরও পড়ুন: দুই রবির ভুলে ইংল্যান্ড পেল ৫ অতিরিক্ত রান, আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক করেও সুবিধে করতে পারল না অশ্বিন
কয়েক সপ্তাহ আগে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল যে, ইশান কিষাণ রিলায়েন্স স্টেডিয়ামে হার্দিক এবং ক্রুনাল পান্ডিয়ার সঙ্গে অনুশীলন করছেন। তবে বিভিন্ন প্রতিবেদন এমনও উল্লেখ করা হয়েছে, বিসিসিআই ইশানের মনোভাব নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। তাঁকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার এবং ঝাড়খণ্ডের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইশান সে কথা কানেও তোলেননি। রাজস্থানের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য ঝাড়খন্ড তাদের প্লেয়িং একাদশ ঘোষণা করেছে, তাতে ইশানের নাম পাওয়া যায়নি।
কিছুদিন আগেই বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ বলেছিলেন যে, বোর্ড এই ধরনের কোনও মনোভাবকে বরদাস্ত করবে না। তরুণ খেলোয়াড়রা যারা আহত নন, তাঁদের নিজেদের রাজ্য দলের হয়ে লাল বলের ক্রিকেট খেলতে হবে।
আরও পড়ুন: অভিষেক টুপি দেওয়ার সঙ্গে নিজের ব্যাডলাকটাও সরফরাজকে দিয়ে ফেলেছি- আফসোস কুম্বলের
জয় শাহের স্পষ্ট দাবি ছিল, ‘প্লেয়ারদের ইতিমধ্যেই ফোনে জানানো হয়েছে এবং আমি চিঠিও লিখতে চলেছি যে, নির্বাচকদের চেয়ারম্যান, দলের কোচ এবং অধিনায়ক যদি তাদের চান, তবে লাল বলের ক্রিকেট খেলতেই হবে সেই প্লেয়ারদের।’
তিনি যোগ করেছেন, ‘যারা ফিট এবং তরুণ, তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য। আমরা অন্য কোনও ক্ষোভ সহ্য করব না। এই বার্তাটি সমস্ত কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের জন্যই। সবাইকে খেলতে হবে। অন্যথায়, নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান আমাকে তাঁর পরামর্শ দেবেন। এবং আমি তাঁকে স্বাধীন ভাবে নিজের সিদ্ধান্ত নিতে বলব।’
এদিকে ভারতের ব্যাটসম্যান শ্রেয়স আইয়ার, যিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ তিনটি টেস্টের দলে নেই। তিনি মুম্বইয়ের হয়েও খেলতে পারছেন না। কারণ তাঁর চোট রয়েছে। পিঠের খিঁচুনির জেরে তিনি সমস্যায় রয়েছে। যে কারণে ভারতের মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান শ্রেয়স আইয়ার শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিকেসি গ্রাউন্ডে অসমের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের শেষ রঞ্জি ট্রফি লিগের ম্যাচে খেলতে পারবেন না।
বিসিসিআই-এর একটি সূত্র টাইমস এফ ইন্ডিয়াকে বলেছে, ‘শ্রেয়স ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট এবং নির্বাচকদের বলেছিল যে, ৩০-৪০ মিনিট ব্যাট করার পরে ওর পিঠে ব্যথা হচ্ছে। এটি থেকে সেরে উঠতে ওর কিছুটা সময় প্রয়োজন। পরে মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য ও উপলব্ধ হতে পারে।’