একেবারে গুরুর যোগ্য শিষ্য! যেন জন্টি রোডস হয়ে উঠেছেন রবি বিষ্ণোই। লখনউ সুপার জায়ান্টস দলের ফিল্ডিং কোচ যে জন্টি, সেটা রবিবার আরও ভালো ভাবে বোঝা গেল, বিষ্ণোইয়ের বাজ পাখির মতো ছোঁ মেরে ক্যাচ ধরা দেখে। নিজের বলেই ক্ষিপ্রতার সঙ্গে কেন উইলিয়ামসনের যে ক্যাচটি বিষ্ণোই ধরেছেন, সেটা চমকে দেওয়ার মতোই।
আরও পড়ুন: ওরা বড় নোংরা- রোহিত টিম ইন্ডিয়ার দুই তারকার সঙ্গে রুম শেয়ার করতে একদমই রাজি নন
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার ডাবল হেডারের দ্বিতীয় ম্যাচটিতে। যে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং গুজরাট টাইটান্স। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তখন ব্যাট করছিল গুজরাট। অষ্টম ওভারে বল করতে এসেছিলেন রবি বিষ্ণোই। ৭.২ ওভারে বিষ্ণোইকে সরাসরি মারতে গিয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন। কিন্তু কিউয়ি তারকাকে চমকে দিয়ে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দুরন্ত ক্যাচ ধরে নেন বিষ্ণোই। অনেকটা উপরে ছিল বল। মাটি থেকে অনেকটা উপরে লাফ দিতে হয়েছিল বিষ্ণোইকে। আবার ডানদিকে বেঁকে সেই লাফটা দিতে হয়েছিল বিষ্ণোইকে। খুবই কঠিন ক্যাচ ছিল। কিন্তু সেটি অবলীলায় ধরে ফেলেন রবি বিষ্ণোই।
আরও পড়ুন: IPL-এ রোহিত যে কত ৪০+ রান করেছেন- কোহলিকেই যেন কটাক্ষ করলেন জাদেজা?
জন্টি রোডস ছাত্রের এমন ক্যাচ নেওয়া দেখে নিঃসন্দেহে গর্ববোধ করবেন। বিষ্ণোইয়ের এমন ক্যাচের ভিডিয়ো এখন নেটপাড়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। বিষ্ণোইয়ের ক্ষিপ্রতায় উইলিয়ামসন এদিন ৫ বলে ১ করে সাজঘরে ফেরেন।
এই উইকেটটি নিয়ে গুজরাটের ব্যাটিং লাইনআপকে নাড়িয়ে দেন বিষ্ণোই। যার নিটফল, এর পর গুজরাট টাইটান্স একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। নবম ওভারে ক্রুনাল পান্ডিয়া সাই সুদর্শন এবং বিআর শরতকে। এখানেই চাপে পড়ে যায় টাইটান্স।
আরও পড়ুন: ২০০+ হতে পারত- স্লো সেঞ্চুরির জন্য বিপক্ষ দল রাজস্থানও বাজে ভাবে ট্রোল করল কোহলিকে
টস জিতে ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল লখনউ। আর ব্যাট করতে নেমে দ্রুত আউট হয়ে যান ওপেনার কুইন্টন ডি'কক (৬)। তিনে নেমে দেবদত্ত পাডিক্কালও (৭) নিরাশ করেন। তবে এর পর কেএল রাহুল এবং মার্কাস স্টোইনিস মিলে হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু রাহুলের ঘুম পাড়ানো ইনিংস রানের গতি স্লো করে দেয়। শেষ পর্যন্ত তিনি ৩১ বলে ৩৩ করে আউট হন। কিন্তু হাল ধরে থাকেন স্টোইনিস। ৪৩ বলে ৫৮ করেন তিনি।
এছাড়া ২২ বলে অপরাজিত ৩২ করেন নিকোলাস পুরান। ১১ বলে ২০ করেন আয়ুশ বাদোনি। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে লখনউ ৫ উইকেট হারিয়ে করে ১৬৩ রান। এখন আইপিএলে যা রান উঠছে, তাতে এই স্কোর আহামরি কিছু ছিল না। কিন্তু এই রান তাড়া করতে নেমে চাপে পড়ে যায় গুজরাট। ১৩০ রানের মধ্যে অলআউট হয়ে যায় তারা। ওপেন করতে নেমে সাই সুদর্শন ২৩ বলে ৩১ করেন। এটাই টাইটান্সের প্লেয়ারদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর। এছাড়া ২৫ বলে ৩০ করেছেন রাহুল তেওয়াটিয়া। বাকিরা কেউ ২০ রানের গণ্ডিই টপকাতে পারেননি। লখনউয়ের হয়ে যশ ঠাকুর একাই ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন।