সেঞ্চুরি করেও কটাক্ষ থেকে রেহাই পেলেন না বিরাট কোহলি। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে ধীর শতরানের নজির গড়েন কোহলি। ৬৭ বলে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে শতরান পূরণ করেছিলেন কোহলি।
আরও পড়ুন: ও পুরো ফিট, তবে… T20 WC-এর দলে পন্তের সুযোগ পাওয়া নিয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া সৌরভের
২০০৯ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ৬৭ বলে ডেকান চার্জাসের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন মণীশ পাণ্ডে। এটাই এত দিন আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে স্লো সেঞ্চুরি ছিল। সেই নজিরই শনিবার স্পর্শ করেন বিরাট কোহলিও। আর তার পরই সমাজমাধ্যমে কোহলিকে নিয়ে ট্রোলিং শুরু হয়। তাঁর স্ট্রাইক রেট নিয়ে। এমন কী কোহলিকে ট্রোল করতে ছাড়েনি রাজস্থান রয়্যালসও। কারণ এই একই পিচে জস বাটলার সেঞ্চুরি করতে নিয়েছেন ৫৮ বল।
আরও পড়ুন: জানতাম একটা ইনিংসেই খেলা ঘুরতে পারে, ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছি- সেঞ্চুরি করে অকপট বাটলার
আসলে কোহলি সেঞ্চুরি করলেও, রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে আরসিবি ৩ উইকেটে ১৮৩ রান করে। ১৮৪ রানের টার্গেট পায় রাজস্থান। তবে জস বাটলারের ঝোড়ো শতরানের দাপটে ৫ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় সঞ্জু স্যামসনের দল।
আরও পড়ুন: আমাদের আরও ১০-১৫ রান বেশি করার দরকার ছিল- ঘুরিয়ে কি কোহলির স্লো ব্যাটিংকে দুষলেন ফ্যাফ?
যাইহোক রাজস্থান কোহলিকে খোঁচা দিতে নিজেদের সোশ্যাল এক্স হ্যান্ডলে গিয়ে একটি মন্তব্য করেছেন। সেখানে তারা লিখেছেন, ‘যেখানে ২০০+ হতে পারত, সেখানে ১৮৪ তো বেশ ভালো’। সঙ্গে যুজবেন্দ্র চাহালের ছবি। কারণ যুজি রাজস্থানের সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন। চার ওভার বল করে ৩৪ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন।
আইপিএলে এই নিয়ে অষ্টম সেঞ্চুরি করে ফেললেন কোহলি। চলতি মরশুমে ৫ ম্যাচে ৩১৬ রান করে অরেঞ্জ ক্যাপের দখল আরও মজবুত করেছেন। এদিন সেঞ্চুরির পর অনেকেই কোহলিকে কটাক্ষ করেছেন। পাকিস্তানের পেসার জুনেইদ খান সোশাল মিডিয়ায় যেমন ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ‘আইপিএলের সবচেয়ে ধীর গতির শতরানের জন্য বিরাট কোহলিকে শুভেচ্ছা জানাই।’
অনেকেই মনে করছেন, বিরাটের ২০টি বল যদি দীনেশ কার্তিকরা পেতেন, তাহলে আরসিবি দু'শোর গণ্ডি পেরিয়ে যেতে পারত। যদিও পালটা অনেকেই বিরাটের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিরাট নিজেও নিজের শতরানের পরে যে বার্তা দিয়েছেন, তাতে তিনি স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, যে ইনিংসটি তিনি খেলেছেন, তাতে বেশ খুশি। তাঁর দাবি, ‘আপনি যখন নিজে খেলছেন না এবং বাইরে থেকে পিচটা দেখছেন, তখন মনে হবে যে এটা পাটা পিচ। কিন্তু সেটা আলাদা লাগছে। কিন্তু আপনি যখন দেখেন যে, পিচে পড়ে বল থমকে আসছে, তখন আপনি বুঝতে পারবেন যে পিচের পেসটা বেশ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। বিশেষত স্পিনারদের ক্ষেত্রে হচ্ছিল। তখন মাঠের বড় বাউন্ডারির বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।’