আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের প্রথম উইকেট যে কোনও বোলারের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে। তবে অস্ট্রেলিয়ার ল্যান্স মরিস এক্ষেত্রে চির কৃতজ্ঞ থাকবেন মার্নাস ল্যাবুশানের কাছে। কেননা কেসি কার্টির উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে বোলার মরিসের থেকে বেশি কৃতিত্ব প্রাপ্য ফিল্ডার মার্নাস ল্যাবুশানের।
মঙ্গলবার ক্যানবেরার মানুকা ওভালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ ওয়ান ডে ম্যাচে মাঠে নামে অস্ট্রেলিয়া। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের ১০.৩ ওভারে মরিসের অফ-স্টাম্পের বাইরের লাফিয়ে ওঠা বলে ব্যাকফুট স্কয়ার ড্রাইভ মারেন ক্যারিবিয়ান তারকা কেসি কার্টি।
বল হাওয়ায় ভেসে যায়। গোলকিপারদের শূন্যে শরীর ছুঁড়ে যেভাবে গোল বাঁচাতে দেখা যায়, ঠিক সেভাবেই নিজের ডানদিকে উড়ে গিয়ে ক্যাচ ধরেন ল্যাবুশান। মার্নাসের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের জন্যই ব্যক্তিগত ১০ রানের মাথায় আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় কার্টিকে। মরিস নিজের কেরিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে মাঠে নেমে সাকুল্যে ২টি উইকেট নেন। কার্টি ছাড়াও তিনি সাজঘরে ফেরান টেডি বিশপকে।
ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একতরফাভাবে উড়িয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৪.১ ওভারে মাত্র ৮৬ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ওপেন করতে নেমে আলিক আথানাজে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩২ রান করেন। ৬০ বলের ইনিংসে তিনি ২টি চার মারেন। এছাড়া কেসি কার্টি ২২ বলে ১০ রান করেন। রোস্টন চেস ২৬ বলে ১২ রানের যোগদান রাখেন। অস্ট্রেলিয়ার জেভিয়ার বার্টলেট ২১ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলয়া মাত্র ৬.৫ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৮৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ২৫৯ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ১৮ বলে ৪১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৬ বলে ৩৫ রান করে নট-আউট থাকেন জোশ ইংলিস। ম্য়াচের সেরা হন জেভিয়ার বার্টলেট।
মেলবোর্ন ও সিডনির প্রথম ২টি ম্যাচ জিতে অস্ট্রেলিয়া আগেই ওয়ান ডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছিল। এবার ক্যানবেরায় নিয়ম রক্ষার তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচ জিতে ক্যারিবিয়ানদের ৩-০ হোয়াইটওয়াশ করে অস্ট্রেলিয়া।