রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে তামিলনাড়ুকে একেবারে কাঁদিয়ে ছাড়ল মুম্বই। শার্দুল ঠাকুরের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের হাত ধরে তামিলনাড়ুকে এক ইনিংস এবং ৭০ রানে হারিয়ে ৪৭তম বারের মতো ফাইনালে উঠল মুম্বই। তিন দিনেই ম্যাচ পকেটে পুড়ে ফেলল রাহানে ব্রিগেড।
রবিবার দ্বিতীয় দিনের শেষে মুম্বইয়ের স্কোর ছিল ৯ উইকেটে ৩৫৩। তনুশ কোটিয়ান ৭৪ এবং তুষার দেশপাণ্ডে ১৭ করে ক্রিজে ছিলেন। সোমবার আর মাত্র ২৫ রান যোগ করে মুম্বই। ২৬ করে আউট হয়ে যান তুষার। কিন্তু ৮৯ করে অপরাজিত থাকেন তনুশ। ৩৭৮ রান করে মুম্বই ২৩২ রানের লিড পায়। সেই রানও পুরো করতে পারেনি তামিলনাড়ু। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে তারা মাত্র ১৬২ রানে অলআউট হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ঠান্ডা, তার উপর বৃষ্টির সম্ভাবনা, ধরমশালায় ঘরের মাঠের আবহাওয়া পাবে ইংল্যান্ড
এদিন ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নড়বড় করছিল তামিলনাড়ু। ১০ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট তারা হারিয়ে বসে থাকে। চারে নেমে বাবা ইন্দ্রজিৎ ১০৫ বলে ৭০ রান করেন। বাকিরা কেউ ২৫ রানের বেশি করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান করেছেন প্রদোষ রঞ্জন পাল। এছাড়া ২৪ করেন বিজয় শঙ্কর। ২১ রান করেন সাই কিশোর। বাকিদের হাল তথৈবচ। এক অঙ্কের গণ্ডিও বাকিরা টপকাতে পারেননি।
৫১.৫ ওভারে ১৬২ রানে অলআউট হয়ে যায় তামিলনাড়ু। এক ইনিংস বাকি থাকতে ৭০ রানে জয় পায় মুম্বই। মুম্বইয়ের হয়ে শামস মুলানি ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শার্দুল ঠাকুর, মোহিত অবস্তি এবং তনুশ কোটিয়ান।
আরও পড়ুন: শ্রেয়স কিন্তু রঞ্জি খেলতে অস্বীকার করেননি- তারকা ব্যাটারের পাশে দাঁড়ালেন গাভাসকর
শনিবার সবুজ পিচে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে একেবারে ভরাডুবি হয়েছিল তামিলনাড়ুর। টসে জেতাটা যেন ব্যাকফায়ার হয়ে গিয়েছিল। ১৭ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল তামিলনাড়ু। ১০০ হওয়ার আগেই তারা আরও ২ উইকেট হারায়। আর ৬৪.১ ওভারে মাত্র ১৪৬ রানের মধ্যে অলআউট হয়ে যায় তারা। বিজয় শঙ্করের ৪৪ এবং সাই সুন্দরের ৪৩ রানই সামান্য পুঁজি হয় তামিলনাড়ুর। মুম্বইয়ের হয়ে তিন উইকেট নিয়েছিলেন তুষার দেশপাণ্ডে। এছাড়াও ২টি করে উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর, মুশির খান এবং তনুশ কোটিয়ান।
মুম্বই তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১০৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে যখন কাঁপছে, তখন নয়ে নেমে ঝড় তোলেন শার্দুল ঠাকুর। ৮৯ বলে তিনি সেঞ্চুরি করেন। এর পর ১০৫ বলে ১০৯ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ১৩টি চার এবং চারটি ছক্কা। এছাড়া মুশির খান ৫৫ রান করেন। তনুশ কোটিয়ান ৮৯ রান। তামিলনাড়ুর হয়ে সাই কিশোর ৬ উইকেট নেন। ২ উইকেট নেন কুলদীপ সেন।