AUS vs WI: দেশের হয়ে খেলে কত টাকা পাব, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, গাব্বায় অজি দুর্গ ভেঙে বললেন জোসেফ

চোট নিয়ে বোলিং করে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছেন জোসেফ। ম্যাচ শেষে আত্মবিশ্বাসের সুর ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারের গলায়।

শামার জোসেফ। ছবি-এপি

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ ড্র করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৮ রানে জিতে নিল গাব্বা টেস্ট। এদিন বোলারদের দাপটে রীতিমতো মাথানত করে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। বিশেষ করে এদিন শামার জোসেফের বোলিং ছিল দেখার মতো। তাঁর কাছ থেকে দল পেল একটি বিধ্বংসী স্পেল। আঘাত নিয়ে খেলেও তিনি একাই নিজের ঝুলিতে তুললেন ৭টি উইকেট এবং মুখে হাসি ফোটালেন স্টেডিয়ামে উপস্থিত ক্যারিবিয়ান সমর্থকদের। এমনকী এই জয়ের পর চোখে জল দেখা যায় প্রাক্তন ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা, তথা কিংবদন্তি ক্রিকেটার, ব্রায়ান লারারও। তবে এদিন ম্যাচ শেষে জয় প্রসঙ্গে মুখ খুললেন শামার। তিনি বলেন যে যতবারই ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট খেলতে আসবে অস্ট্রেলিয়ায়, তিনি দলের সঙ্গে সর্বদা থাকবেন।

রবিবার অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারি, চতুর্থ দিনের খেলা খেলতে নামে অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২ উইকেটে ৬০ রান নিয়ে খেলতে নামে অস্ট্রেলিয়া। তবে এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং আসে অস্ট্রেলিয়ার তরফ থেকে। কিন্তু মাঝেরদিকে পড়তে শুরু করে উইকেট। যার জেরে চাপে পড়ে যায় অজি বাহিনী। জোসেফের বোলিং রীতিমতো চিন্তায় ফেলে দেয় প্যাট কামিন্সকে। অবশেষে গোটা দল অলআউট হয়ে যায় ২০৭ রানে এবং গোটা মাঠ জুড়ে আনন্দ উদযাপন করতে শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। জোশ হেজেলউড আউট হতেই হৈচৈ পড়ে যায় গোটা স্টেডিয়ামে। ম্যাচের নায়ক হন শামার।

এদিন জয় প্রসঙ্গে, ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখোমুখি হয়ে নিজের মুখ খোলেন শামার। তিনি সরাসরি বললেন যে যতবারই ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট খেলতে আসবে অস্ট্রেলিয়ায়, তিনি দলের সঙ্গে সর্বদা থাকবেন। ক্যারিবিয়ান পেসারের বক্তব্য, 'যতবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলতে আসবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে, ততবারই আমি দলের সঙ্গে থাকব। আমার এটা সরাসরি বলতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ বা ভয় হচ্ছে না। হ্যাঁ, মাঝেমধ্যে এমন সময় আসবে যখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এবং টেস্ট দুটোই একসঙ্গে পড়বে, তবুও আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সঙ্গে খেলতে আসবো, সে যত টাকারই প্রস্তাব আমায় দেওয়া হোক না কেন।'

পাশাপাশি, হেজেলউডকে আউট করার মুহূর্তটির কথাও তিনি তুলে ধরেন আজ। তিনি বলেন, 'আমি ভালো করেই জানতাম যে হেজেলউডকে আমি দুটি বলের মধ্যেই প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দেবো। আউট করার পর কি হয়েছে আমার মনে নেই, তবে আমি সোজাসুজি বাউন্ডারির দিকে আনন্দের চোটে দৌড়েছিলাম। আমার মাথায় তখন জয়টাই চলছিল। ম্যাচ জিতে খুবই খুশি হয়েছিলাম আমি।'