জসপ্রীত বুমরাহ বোলিং করতে আসা মানেই, উল্টোদিকের ব্যাটারদের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। বারবার সেটা প্রমাণ করেছেন ভারতের তারকা পেসার। সেটা আন্তর্জাতিক মঞ্চ হোক, বা আইপিএলের মঞ্চ। তার উপর ২০২৪ আইপিএলে বুমরাহ দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন। বৃহস্পতিবারই যেমন মোহালির মুলানপুর স্টেডিয়ামে পঞ্জাব কিংসের ব্যাটিং লাইনআপের ভিতকেই নড়িয়ে দেন ভারতের তারকা পেসার।
পঞ্জাব ম্যাচ জেতানোর কারিগর বুমরাহ
এদিন বুমরাহ গুরুত্বপূর্ণ তিন উইকেট তুলে নেওয়ার পাশাপাশি, পঞ্জাবের ইনিংসের ১৭তম ওভারে বল করতে এসে দেন মাত্র ৩ রান। এতে ধাক্কা খায় পঞ্জাব কিংসের রানের গতিও। কারণ ১৬তম ওভারের পর জেতার জন্য পঞ্জাবের দরকার ছিল ২৪ বলে ২৮ রান। ১৭তম ওভারে বুমরাহ পঞ্জাবের রানের গতি কমিয়ে দেওয়ার ফলে ধাক্কা খায় পঞ্জাব। ১৮তম ওভারে কোয়েটজিয়া বল করতে এলে, তিনি ২ রান দিয়ে আশুতোষ শর্মার উইকেট নেন। আর এই দুই ওভারের পরেই খেলার রাশ পুরো পঞ্জাবের হাত থেকে বেরিয়ে যায়।
পঞ্জাবের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসেছিলেন বুমরাহ। সেটি তাঁর প্রথম ওভার ছিল। আর সেই ওভারেই তিনি ২ উইকেট নিয়ে পঞ্জাবের ভিত নড়িয়ে দেন। রিলি রসউকে (৩ বলে ১) বোল্ড করার পর, ওভারের শেষ বলে আউট করেন স্যাম কারানকেও (৭ বলে ৬)। এর পর ২৫ বলে ৪১ করে পঞ্জাবকে ম্যাচে ফেরানো শশাঙ্ক সিং-এরও উইকেট নেন তিনি। বুমরাহের দুরন্ত স্পেলের সৌজন্যে মুম্বই শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ম্যাচ জেতে।
আরও পড়ুন: ছন্নছাড়া ক্যাপ্টেন্সি, দেরি হল ফিল্ড সাজাতে, বড় জরিমানার মুখে পড়লেন হার্দিক
‘টি২০ ফর্ম্যাটে বল করাটা বেশ কঠিন’
ম্যাচের পর বুমরাহ বলেছেন, ‘এই ম্যাচটি খুবই হাড্ডাহাড্ডি ছিল। আমরা যা ভেবেছিলাম, তার চেয়েও অনেক বেশি লড়াই হয়েছে। বল যদি কার্যকরী ভাবে করা যায়, তবে সকলেই প্রভাব ফেলতে চাইবে। তবে এই ফর্ম্যাটে বল দুই ওভার সুইং করে। আরও সুইং করাতে চাইলে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে হবে। সেক্ষেত্রে আমার আশা পূরণ হবে। বোলারদের জন্য আসলে এই ফর্ম্যাটটি বেশ চ্যালেঞ্জিং এবং কঠিন। কারণ এই ফর্ম্যাটে নির্দিষ্ট সময়ের বিষয় আছে এবং ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মটা রয়েছে। ব্যাটিং লাইনআপও দীর্ঘ হয়। তার গভীরতাও অনেক বেশি থাকে। কিন্তু সেটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না।’
পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে, পার্পল ক্যাপ দখল করলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের তারকা পেসার। এখনও পর্যন্ত চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে ৭ ম্যাচ খেলে মোট ১৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন বুমরাহ। তাঁর ইকোনমি রেট ৫.৯৬। সেরা বোলিং ফিগার ২১/৫।
বুমরাহের মতো বোলার দলে থাকা মানেই, লাভবান হয় তরুণরাও। ৩০ বছর বয়সী তারকা বলেছেন যে, তিনি প্রায়ই তাঁর সতীর্থ তরুণ বোলারদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে বুমরাহের দাবি, ‘আমি যখনই পারি তরুণ বোলারদের পরামর্শ দিই। কিন্তু ম্যাচের হিট অফ দ্য মোমেন্টে আমি বেশি পরামর্শ দিই না।’