শেফালি বর্মার ব্যাট কথা বললে জয় নিয়ে ভাবতে হয় না দলকে, মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে ন্যূনতম খোঁজ-খবর রাখেন যাঁরা, এতদিনে এই বিষয়টি জলের মতো স্পষ্ট তাঁদের কাছে। সেটাই প্রমাণিত হল আরও একবার। বৃহস্পতিবার আরসিবির বিরুদ্ধে উইমেন্স প্রিমির লিগের ম্যাচে ধ্বংসাত্মক হাফ-সেঞ্চুরি করেন শেফালি। দাপুটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দিল্লি ক্যাপিটালস।
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস-ভাগ্য সঙ্গ দেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে। আরসিবির ক্যাপ্টেন স্মৃতি মন্ধনা শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান দিল্লি ক্যাপিটালসকে। দিল্লি প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৪ রান তোলে।
ওপেন করতে নেমে শেফালি বর্মা ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩০ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। যদিও অর্ধশতরানের পৌঁছনোর পরেই আউট হয়ে বসেন তিনি। শেফালি ৩১ বলে ৫০ রান করে মাঠ ছাড়েন। অপর ওপেনার তথা ক্যাপ্টেন মেগ ল্যানিং ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭ বলে ১১ রানের ধীর ইনিংস খেলেন।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অ্যালিস ক্যাপসি নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে আসেন। তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৩ বলে ৪৬ রান করে মাঠ ছাড়েন। ৪ বল খেলেও খাতা খুলতে পারেননি জেমিমা রডরিগেজ। ১৬ বলে ৩২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন মারিজান কাপ। তিনি ২টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
আরও পড়ুন:- আরও পড়ুন:- রিঙ্কু থেকে যশস্বী, প্রথমবার BCCI-এর কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ঢুকলেন যে ১১ জন
১৬ বলে ৩২ রান করে নট-আউট থাকেন জেস জোনাসেন। তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ৪ বলে ১০ রান করে নট-আউট থাকেন অরুন্ধতী রেড্ডি। তিনি ২টি চার মারেন। আরসিবির সোফি ডিভাইন ও নাদিন ডি'ক্লার্ক ২টি করে উইকেট দখল করেন। ১টি উইকেট নেন শ্রেয়াঙ্কা পাতিল।
পালটা ব্যাট করতে নেমে আরসিবি ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৯ রানে আটকে যায়। ২৫ রানে ম্যাচ জেতে দিল্লি ক্যাপিটালস। ব্যাঙ্গালোর হারায় ব্যর্থ হয় ক্যাপ্টেন মন্ধনার দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি। মন্ধনা ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি ১০টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪৩ বলে ৭৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
সোফি ডিভাইন করেন ১৭ বলে ২৩ রান। তিনি ১টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ৩১ বলে ৩৬ রান করেন সাববিনেনি মেঘনা। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৩ বলে ১৯ রান করেন রিচা ঘোষ। বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি।
দিল্লির জেস জোনাসেন ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচ করে ৩টি উইকেট তুলে নেন। ২টি করে উইকেট নেন অরুন্ধতী রেড্ডি ও মারিজান কাপ। ১টি উইকেট নেন শিখা পান্ডে। ম্যাচের সেরা হন মারিজান।