সুপার ওভারে নেপালকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এশিয়ার কোয়ালিফায়ারে চ্যাম্পিয়ন হল ওমান। রবিবার কীর্তিপুরে প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৮৪ রান তোলে নেপাল। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষে ওমানেরও স্কোর দাঁড়ায় নয় উইকেটে ১৮৪ রান। সেই পরিস্থিতিতে সুপার ওভার হয়। আর সুপার ওভারে ২১ রান তোলে ওমান। জবাবে ১০ রানের বেশি তুলতে পারেনি নেপাল। তবে ফাইনালে হারলেও খুব একটা হতাশ হবেন না আসিফ শেখ, রোহিত পাউদেলরা। কারণ তাঁরা ইতিমধ্যে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে গিয়েছেন। ওমানের পাশাপাশি আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে নেপালও।
রবিবার টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নেপালের অধিনায়ক রোহিত। শুরুটা আহামরি হয়নি নেপালের। ১০ ওভারের শেষে নেপালের স্কোর ছিল চার উইকেটে ৬০ রান। তবে পঞ্চম উইকেটে খেলার মোড়ে ঘুরিয়ে দেন গুলশন ঝা এবং রোহিত। পঞ্চম উইকেটে তাঁরা ৪৩ বলে ৭৮ রান যোগ করেন। তাতেই চাপে পড়ে যান ওমান।
সেই রেশ ধরে শেষ ১০ বলে ৩২ রান করে নেপাল। তার সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮৪ রান তোলে। ২৫ বলে ৫৪ রান করেন গুলশন। ৩৭ বলে অপরাজিত ৫২ রান করেন রোহিত। ছয় বলে অপরাজিত ২০ রান করেন করণ কেসি। ওমানের হয়ে চার ওভারে তিন উইকেটে ২৬ রান নেন বিলাল খান। চার ওভারে ২২ রান দিয়ে দু'উইকেট নেন আকিল ইলিয়াস।
সেই রান তাড়া করতে নেমে ওমানেরও শুরুটা আহামরি হয়নি। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে ২৭ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর অবশ্য ক্রমশ নিজেদের হাতে ম্যাচের রাশ তুলে নিতে থাকে ওমান। দ্বিতীয় উইকেটে মাত্র ৪০ বলে ৮৭ রান যোগ করেন কাশ্যপ প্রজাপতি ও আকিব। সেইসময় মনে হয়েছিল যে ওমান জিতে যাবে। কিন্তু ১৭ তম ওভারের পঞ্চম বলে কাশ্যপ (৫২ বলে ৬৩ রান) আউট হতেই খেলায় ফিরে আসে নেপাল। ১৬.৪ ওভারে তিন উইকেটে ১৪৬ রান থেকে ১৭.৪ ওভারে ওমানের স্কোর দাঁড়ায় ছয় উইকেটে ১৫৭ রান।
তারপরও অবশ্য নির্ধারিত ২০ ওভারেই জেতার কথা ছিল ওমানের। শেষ ওভারে আট রান দরকার ছিল। কিন্তু সন্দীপ লামিছানে দুর্দান্ত বোলিং করেন। প্রথম চারটি বলে দুই উইকেট তুলে নেন। খরচ করেন মাত্র দু'রান। কিন্তু পঞ্চম বলে বাউন্ডারি হয়ে যায়। তার শেষ বলে দু'রান নিতে গিয়ে রান-আউট হয়ে যান ফায়াজ বাট। তার জেরে নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষে দু'দলের স্কোর দাঁড়ায় ১৮৪ রান।
সেই পরিস্থিতিতে সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচ। নেপালের হয়ে বল করতে আসেন অবিনাশ বোহারা। যিনি ম্যাচের চার ওভারে ৩০ রান দিয়ে এক উইকেট নিলেও সুপার ওভারে ২১ রান হজম করেন। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি নেপাল। বিলালের সামনে সুপার ওভারে ১০ রানের বেশি তুলতে পারেনি। তার ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এশিয়ান কোয়ালিফায়ারের চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় ওমান।