নিউজিল্যান্ডকে বাগে পেয়েও প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে লিড নিতে পারল না বাংলাদেশ। বরং শেষ দুই উইকেটে ৫৩ রান যোগ করে কিউয়িরাই এগিয়ে গেল সিলেট টেস্টে।
বাংলাদেশের ৩১০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে একসময় ২৬৪ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বসে। তারা দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে ৮ উইকেটে ২৬৬ রান তুলে। কাইল জেমিসন ৭ ও টিম সাউদি ১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
তৃতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করে ৩১৭ রানে। অর্থাৎ প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৭ রানে এগিয়ে থাকে কিউয়িরা। জেমিসন ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭০ বলে ২৩ রান করে আউট হন। ক্যাপ্টেন সাউদি ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬২ বলে ৩৫ রান করে মাঠ ছাড়েন।
উল্লেখ্য, সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশে। তারা প্রথম ইনিংসে ৩১০ রান তুলে অল-আউট হয়। ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৮৬ রান করেন। এছাড়া ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৭, অভিজ্ঞ মোমিনুল হক ৩৭, মুশফিকুর রহিম ১২, অল-রাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ ২২ ও উইকেটকিপার নুরুল হাসান ২৯ রান করেন।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে প্রথম ইনিংসে গ্লেন ফিলিপস ৪টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট দখল করেন কাইল জেমিসন ও আজাজ প্যাটেল। ১টি করে উইকেট নেন টিম সাউদি ও ইশ সোধি।
পালটা ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ৩১৭ রান তোলে। দুরন্ত শতরান করেন কেন উইলিয়ামসন। তিনি ১১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২০৫ বলে ১০৪ রান করে আউট হন। এছাড়া ডারিল মিচেল ৪১, গ্লেন ফিলিপস ৪২, টম লাথাম ২১ ও হেনরি নিকোলস ১৯ রান করেন। ডেভন কনওয়ে ১২ ও টম ব্লান্ডেল ৬ রান করে আউট হন। খাতা খুলতে পারেননি ইশ সোধি। ১ রানে নট-আউট থাকেন আজাজ প্যাটেল।
বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানের বিনিময়ে সব থেকে বেশি ৪টি উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। ৩.৫ ওভার বল করে মাত্র ৪ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন মোমিনুল হক। ১টি করে উইকেট পকেটে পোরেন শরিফুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ ও নইম হাসান।