বিপিসিএলের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে এক বলেই আউট হন তিলক বর্মা। তবে দ্বিতীয় ম্য়াচেই সেই ব্যর্থতা পুষিয়ে দিলেন হায়দরাবাদের তরুণ তুর্কি। সেন্ট্রাল রেলওয়েজের বিরুদ্ধে ডিওয়াই পাতিল টি-২০ কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্য়াচে ধ্বংসাত্মক হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিলক। বরং বলা ভালো যে বৃহস্পতিবার রিলায়েন্স-ওয়ানের হয়ে ব্যাট করতে নেমে তিলক বর্মা নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন।
ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে এদিন টস জেতেন রিলায়েন্স-ওয়ানের ক্যাপ্টেন পীযূষ চাওলা। তিনি শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। রিয়ালেন্স-ওয়ান শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২২০ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। তিলক ছাড়াও হাফ-সেঞ্চুরি করেন শিবালিক শর্মা।
তিলক ৪৪ বলে ৯১ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন। এমন ধুমধাড়াক্কা ইনিংসে তিনি ৪টি চার ও ৮টি ছক্কা মারেন। শিবালিক ৩৬ বলে ৫৬ রান করে আউট হন। তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। এছাড়া পোখরাজ মন ১২ বলে ২৬ রান করেন। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ২১ বলে ৩০ রান করেন নমন ধীর। তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
৮ বলে ১১ রান করেন উইকেটকিপার বিষ্ণু বিনোদ। তিনি ২টি চার মারেন। ১ বলে ৪ রান করে নট-আউট থাকেন দেব লাকরা। সেন্ট্রাল রেলওয়ের সলিল আগরকর ২ ওভারে ১৭ রান খরচ করে ২টি উইকেট তুলে নেন। রামকৃষ্ণ ঘোষ ১টি উইকেট নিলেও ৪ ওভারে ৬০ রান খরচ করেন। ইনিংসের শেষ ওভারে রামকৃষ্ণর বলে তিলক ৪টি ছক্কা হাঁকান। অভিলাস শেট্টি ৩ ওভারে ১০ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে সেন্ট্রাল রেলওয়ে ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৫ রান তোলে। ৬৫ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জেতে রিলায়েন্স-ওয়ান। অমিত পাউনিকর ২৫ বলে ৪২ রান করেন। তিনি ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ৩৩ বলে ৩৯ রানের ধীর ইনিংস খেলেন ক্যাপ্টেন গান্ধার। তিনি ১টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
আরও পড়ুন:- ধরমশালায় মাঠে নামলেই টেস্টের 'সেঞ্চুরি' অশ্বিনের, ভারতের হয়ে ১০০ টেস্ট খেলেছেন কারা?
প্রবীণ দেশেট্টি ২০, সচিন কাটারিয়া ১৭ ও কুশল কাকাড় অপরাজিত ১৩ রান করেন। রিলায়েন্স-ওয়ান এই ম্যাচে মোট ৮ জন বোলারকে ব্যবহার করে। তিলক বর্মা ২ ওভারে ১৬ রান খরচ করে ১টি উইকেটও তুলে নেন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন তিনিই।