ভারতীয় দলের তারকা পেস-বোলিং অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া গোড়ালির চোটের কারণে ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপের মাঝপথ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। এর পর তাঁকে রিহ্যাবের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। হার্দিককে প্রথমেই ২৫ দিনের পুনর্বাসনের সময় জানানো হয়েছিল, তবে তিনি ৫ দিনের মধ্যে প্রত্যাবর্তনের জন্য বাড়তি চাপ নিতে গিয়ে হিতে বিপরীত হয়ে গিয়েছিল। হার্দিকের চোট আরও খারাপ হয়ে গিয়েছিল। যাইহোক আইপিএলের আগেই হার্দিক ফিট হয়ে উঠেছেন। এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে নেতৃত্ব দিতে তিনি তৈরি। তবে আইপিএল শুরুর আগেই বিশ্বকাপের সময়ে তাঁর চোটের ভয়াবহ-কাহিনী শেয়ার করেছেন হার্দিক, যে চোট তাঁকে কয়েক মাস মাঠের বাইরে ছিটকে দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: যে কোনও মূল্যেই কোহলিকে T20 WC-এর দলে চাই- BCCI সচিবকে জানিয়ে দিয়েছেন রোহিত
হার্দিক স্টার স্পোর্টসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমি এমন একজন ক্রিকেটার, যে ২-৩ মাস আগে থেকে কোনও টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি শুরু করে না। আমি এই বিশ্বকাপের (২০২৩) জন্য এক বছর আগে আমার যাত্রা শুরু করেছিলান। আমি দেড় বছর আগে থেকেই আমার রুটিন পরিকল্পনা করেছিলাম এবং সেই অনুযায়ী কাজ করেছিলাম। এটি একটি অদ্ভূত চোট ছিল। খুব কম লোকই এটা সম্পর্কে জানে যে, আমার চোট দীর্ঘায়িত হয়েছে এবং আমাকে আরও সময় নিতে হয়েছিল। কারণ আমি যখন চোট পাই, তখন শুরুতে আমাকে ২৫ দিনের রিহ্যাবের কথা বলা হয়েছিল। আমি বিশ্বকাপের ম্যাচ মিস করছিলাম। তাই দ্রুত ফিরতে বাড়তি চাপ নিয়েছিলাম। আমি দলকে জানিয়েছিলাম যে, ৫ দিনের মধ্যে ফিরে আসব।’
আরও পড়ুন: IPL-এর সার্কাসে আসতে পারব ভেবে উত্তেজিত লাগছে, বললেন টুর্নামেন্টের সবচেয়ে দামি প্লেয়ার স্টার্ক
সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘আমি আমার গোড়ালিতে তিনটি ভিন্ন জায়গায় ইনজেকশন দিয়েছিলাম এবং আমাকে আমার গোড়ালি থেকে রক্ত সরাতে হয়েছিল কারণ তা এতটাই ফুলে গিয়েছিল।’ বিশ্বকাপের সময়ে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করতে হার্দিক নিজেকে নিজেকে নিংড়ে দিতে চেয়েছিলেন। বিশ্বকাপের ফাইনাল পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন হার্দিক। কিন্তু, তাঁর চোট আবার নতুন করে দেখা দেয় এবং পরবর্তী তিন মাসের জন্য তিনি ২২ গজের বাইরে ছিটকে যান।
হার্দিক বলেছেন, ‘আমি হাল ছাড়তে চাইনি এবং দলের জন্য আমি আমার সেরাটা দেব। একটা সময় পর্যন্ত, আমি সচেতন ছিলাম যে, আমি যদি নিজেকে ধাক্কা দিতে থাকি তবে আমি দীর্ঘ সময়ের জন্য চোটের কবলে পড়তে পারি। তবে এটি মানিনি। আমার মত ছিল, যদি এক শতাংশ সুযোগ থাকে, যদি আমি দলের সঙ্গে থাকতে পারি, তবে আমি আমার সেরা চেষ্টা করব এবং যখন আমি ফিরতে নিজেকে নিংড়ে দিয়েছি, তখন আমার চোটের পুনরাবৃত্তি হয় এবং আমি তিন মাসের জন্য ছিটকে যাই।’
তিনি এখানেই না থেমে আরও বলেছেন, ‘আমি ১০ দিন ধরে সর্বোচ্চ ভাবে চেষ্টা করেছি। ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়েছি এবং কী ভাবে আমি আবার দলে যোগ দিতে পারি, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। আমার জন্য সবচেয়ে বড় গর্বের বিষয় হল, দেশের হয়ে খেলা এবং এর চেয়ে বড় গর্ব আর কিছুতে হতে পারে না। তবে আমি পুরো বিশ্বকাপ খেলতে পারিনি। মিস করি এবং এই বিষয়টি সব সময়ে আমার মনকে ভারাক্রান্ত করেছে।’