জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে ২০ রান দরকার ছিল মরিসভিল ইউনিটির। তবে ম্যাচ জেতানোর তাড়া ছিল কোরি অ্যান্ডারসনের। তিনি নবম ওভারে অ্যাশলে নার্সের বলে পরপর ৬, ৪, ৬, ৪ মেরে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন দলকে। ফের একবার অ্যারন ফিঞ্চের ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ম্যাচ হারতে হয় ক্যালিফোর্নিয়া নাইটসকে।
লডারহিলে চলতি ইউএস টি-১০ মাস্টার্সের দশম ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে ক্যালিফোর্নিয়া ও মরিসভিল। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ক্যালিফোর্নিয়া। তারা নির্ধারিত ১০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১০০ রান তোলে। অ্যারন ফিঞ্চ ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ২৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৪টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৩০ বলে ৬৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।
ফিঞ্চ ক্যালিফোর্নিয়ার হয়ে ব্যাট হাতে একা লড়াই চালান। কেননা বাকিরা আর কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। জ্যাক কালিস ৯, মিলিন্দ কুমার ৬, ইরফান পাঠান ৯ ও রিকার্ডো পাওয়েল ৪ রানের যোগদান রাখেন। খাতা খুলতে পারেননি ক্যাপ্টেন সুরেশ রায়না। মরিসভিলের ওবাস পিয়েনার ১৩ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন। ১ ওভারে ১৩ রান খরচ করেও উইকেট পাননি শ্রীসন্ত।
আরও পড়ুন:- PAK vs AFG: কোনও রকমে ২০০ টপকে ১৪২ রানে জয়, ২৫ বছর আগের রেকর্ড ভাঙল পাকিস্তান
পালটা ব্যাট করতে নেমে মরিসভিল ৮.৫ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১০২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৭ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। পার্থিব প্যাটেল ১৪ রান করে আউট হন। ক্রিস গেইল ১০ বলে ১৬ রান করেন। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৭ বলে ২৭ রান করেন শেহান জয়সূর্য। পিয়েনার ১২ বলে ২৩ রান করে নট-আউট থাকেন। ২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন কোরি অ্যান্ডারসন। ক্যালিফোর্নিয়ার হয়ে নার্স, পাওয়েল ও সূয়ল ১টি করে উইকেট নেন। ব্যাটে-বলে সফল পিয়েনার ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সোমবার নিউ জার্সির বিরুদ্ধেও ফিঞ্চ ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করা সত্ত্বেও তাঁর দলকে ম্যাচ হারতে হয়। ফের একবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। পরপর ২টি ম্যাচে ট্র্যাজিক হিরো হয়ে থেকে যেতে হয় অজি তারকাকে।
ক্যালিফোর্নিয়া বনাম মরিসভিল ম্যাচের অবাক করা তিন তথ্য:-
১. ইরফান পাঠান মাঠে নামেন বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসেবে। ক্যালিফোর্নিয়া নাইটসের দরকারের সময়েও বল হাতে নেননি তিনি।
২. দশ ওভারের ম্যাচে হরভজন সিংয়ের ব্যাট করার সম্ভাবনা নিতান্ত কম। তবে এই ম্যাচে ভাজ্জি বলও করেননি। তিনি মাঠে নামেন কেবল মরিসভিলের ক্যাপ্টেন হিসেবে।
৩. মরিসভিলের প্রথম একাদশে নাম থাকা সত্ত্বেও বল করতে দেখা যায়নি রাহুল শর্মাকে।