বল হাতে ওয়াংখেড়ের ২২ গজে বৃহস্পতিবার আগুন ছোটালেন জসপ্রীত বুমরাহ। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে তুলে নেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ৫ উইকেট। আউট করেন বিরাট কোহলি, ফ্যাফ ডু'প্লেসি, মহিপাল লোমরোর, সৌরভ চৌহান এবং বিজয়কুমার বৈশাখকে।
আইপিএলের ইতিহাসে বুমরাহই হলেন প্রথম বোলার, যিনি আরসিবির বিরুদ্ধে ৫ উইকেট পেলেন। বিরাট কোহলির দলের বিরুদ্ধে বুমরাহ নিয়েছেন মোট ২৯ উইকেট। বুমরাহর পরে রয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা (২৬), সন্দীপ শর্মা (২৬), সুনীল নারিন (২৪), আশিস নেহরা (২৩) এবং হরভজন সিং (২৩)। পাশাপাশি জেমস ফকনার, জয়দেব উনাদকাট এবং ভুবনেশ্বর কুমারের পর চতুর্থ বোলার হিসেবে আইপিএলে একাধিক বার ৫ উইকেট নেওয়ার নজিরও গড়েন তিনি।
আরও পড়ুন: ভুলে যাবেন না হার্দিক দেশের হয়ে খেলেন, কী ভাবে ওয়াংখেড়েকে শান্ত করলেন কোহলি?- ভিডিয়ো
‘বল করলে, মার খেতেই হবে’
ম্যাচের পর বুমরাহ বলেন, ‘ফলাফল নিয়ে আমি খুবই খুশি। আমি কখনও-ই বলব না যে, পাঁচ উইকেট নেওয়ার কথা ভেবেছিলাম। উইকেটটি স্টিকি ছিল এবং সেখানে আমি অবদান রাখতে পেরে খুব খুশি। এই ফরম্যাটে বল করাটা বোলারদের জন্য খুব কঠিন চ্যালেঞ্জ। আমি চেষ্টা করি, শুধু একটি বিষয় নিয়ে পড়ে না থাকতে। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে এই নিয়ে কাজ করেছি। বিভিন্ন দক্ষতা থাকা চাই। বল করাটা কঠিন, কারণ আপনাকে মার খেতেই হবে।’
আরও পড়ুন: যুজিকে সরিয়ে বেগুনি টুপির লড়াইয়ে শীর্ষে উঠলেন বুমরাহ, অরেঞ্জ ক্যাপ থাকল কোহলিরই
‘আত্মবিশ্লেষণ করি’
সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘যখন আমি খারাপ বল করেছি, বা বিষয়গুলি আমার বিরুদ্ধে গিয়েছে, সেই সব ক্ষেত্রে পরের দিন আমি ভিডিয়োগুলি দেখেছি এবং বিশ্লেষণ করেছি, কোথায় ভুল হয়েছে। কেন কাজ করেনি। প্রস্তুতি নেওয়াটাই আসল। আপনাকে সব সময়েই যে ইয়র্কার বোলিং করতে হবে, তা নয়, কখনও কখনও আপনি ইয়র্কার বোলিং করবেন, কখনও কখনও শর্ট বল করে থাকেন। এই বিন্যাসে কোন অহং নেই। আপনি ১৪৫ কিমি গতিতে বল করতে পারেন, তবে কখনও কখনও ধীরে বল করাটাও গুরুত্বপূর্ণ।’
‘হার্ড লেন্থ বোলিং করতে চেয়েছিলাম’
ইনিংসের মাঝেও বুমরাহ বলেছিলেন, ‘এটি একটি ভালো দিন ছিল। সেই দিনগুলির মধ্যে একটি, যেখানে আমি যেটা করতে চেয়েছি, সেটা কার্যকরী হয়েছে। প্রথম ওভারে যখন বল করেছিলাং, তখনই বুঝতে পেরেছিলাম যে, বলটি কিছুটা গ্রিপ করছে। ভালো হার্ড লেন্থ বোলিং করতে চেয়েছিলাম। আমি ১১ বছর ধরে এটা করে আসছি, তাই আমি এটাতে অভ্যস্ত। শেষের দিকে অবশ্য শিশিরের কারণে ব্যাট করা সহজ হয়ে গিয়েছিল।’
আরও পড়ুন: আম্পায়ারের বারবার সিদ্ধান্ত বদলে রাগে ফেটে পড়লেন শান্ত স্বভাবের শুভমন- ভিডিয়ো
যাইহোক বুমরাহ ৪ ওভার বল করে ২১ রানে ৫ উইকেটে তুলে নিলেও, আরসিবি ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রানের দুর্দান্ত স্কোরে পৌঁছে গিয়েছিল। ফ্যাফ ডু'প্লেসির ৪০ বলে ৬১ রানের ইনিংসটি ভিত শক্ত করেছিল বেঙ্গালুরুর। এর পর রজত পতিদার মাত্র ২৬ বলে ৫০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। ইনিংসের শেষ দিকে দীনেশ কার্তিকের অপরাজিত ২৩ বলে ৫৩ রানের ক্যামিও ইনিংসটি আরসিবি-কে ২০০-র কাছে পৌঁছে দিয়েছিল।
তবে ইশান কিষান এবং সূর্যকুমার যাদবের সাইক্লোনে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স সহজ জয় ছিনিয়ে নেয়। ৩৪ বলে ৬৯ রান করেন ইশান। ১৯ বলে ৫২ করেন সূর্য। এছাড়া ২৪ বলে ৩৮ করেছিলেন রোহিত শর্মা। শেষে হার্দিক ৬ বলে অপরাজিত ২১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে মুম্বইকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। ৭ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় এমআই।