শুভব্রত মুখার্জি: চলতি ওডিআই বিশ্বকাপে বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে মুখোমুখি হয়েছিল গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা। দুই দলের কাছেই এই ম্যাচ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হারলেই কার্যত শেষ হয়ে যাবে সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা এমন আবহে 'থ্রি লায়ন্সের' মুখোমুখি হয়েছিল এশিয়ার সিংহরা। চলতি বিশ্বকাপে এদিন প্রথম ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেন ৩৫ বছর বয়সি শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। আর সুযোগ পেয়েই করলেন বাজিমাত। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের হাতে রীতিমতো পর্যুদস্ত হল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। শ্রীলঙ্কার এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন তাদের পেসার লাহিরু কুমারা। ম্যাচ সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে লাহিরু কুমারা জানিয়েছেন গত ম্যাচের পরে বেশি পরিবর্তন করেননি নিজের বোলিংয়ে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভালো পারফরম্যান্স করে খুশি তিনি।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লাহিরু কুমারা বলেন, ‘ইংল্যান্ডের মতন এক শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে আমি এই রকম পারফরম্যান্স করতে পেরে খুব আনন্দিত। আমি গত ম্যাচের (নেদারল্যান্ডস) পরে আমার বোলিংয়ে বেশি পরিবর্তন করিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচটা আমার কাছে বল হাতে একটা খারাপ দিন ছিল। আমি নিজের বোলিং নিয়ে কঠোর অনুশীলন করেছি। নেটে নিয়মিত অনুশীলন করেছি। যার ফল এদিন ম্যাচে আমি পেয়েছি।’
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ এবং ম্যাচে তাঁর পারফরম্যান্স সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হলে লাহিরু জানান, ‘দলে অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজকে ফিরে পাওয়াটা বিরাট একটা বিষয়। আমাদের সকলের কাছে অ্যাঞ্জেলো অনুপ্রেরণার। আমাকে খুব সাপোর্ট করেছে ও। গোটা ম্যাচে আমাকে কীভাবে বল করতে হবে তা নিয়ে কথা বলেছে। নানা উপদেশ দিয়েছে। আমার এই ম্যাচে উদ্দেশ্য ছিল যতটা সম্ভব ব্যাটারদের উইকেটকে আক্রমণ করা। মিডল ওভারে শৃঙ্খলা রেখে বল করা। আর এটা করতে পারার ফলেই আমরা নিয়মিত ব্যবধানে ম্যাচে উইকেট তুলে নিতে পেরেছি।’
ম্যাচে লাহিরু কুমারা ৭ ওভার বোলিং করেন। দিয়েছেন ৩৫ রান। নিয়েছেন তিনটি উইকেট। বেন স্টোকস, জোস বাটলার এবং লিয়াম লিভিংস্টোনের মতন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তিনি তুলে নিতে সমর্থ হন। ফলে মাত্র ১৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড দল। দুই উইকেট হারিয়ে এদিন লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা দল। ১৪৬ বল বাকি থাকতে বিরাট জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। রান তাড়া করতে গিয়ে ২৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা দল। সেখান থেকে ১৩৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন পাথুম নিশঙ্কা এবং সাদিরা সমরাবিক্রমে। দুজনেই অপরাজিত থাকেন। নিশঙ্কা ৭৭ রানে এবং সাদিরা ৬৫ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন।