ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদগার এখন কোথায় গেল? রামিজ রাজাকে ধারাভাষ্য দিতে দেখেই কটাক্ষ পাক প্রাক্তনীর

আইসিসি-র তরফে ইতিমধ্যে আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপের ধারাভাষ্যকারদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন প্রাক্তন পিসিবি প্রধান রামিজ রাজাও। আর সেটার দেখার পরেই রামিজ রাজাকে ধুইয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন পাকিস্তান বোলার দানিশ কানেরিয়া।

দানিশ কানেরিয়া এবং রামিজ রাজা।

শুভব্রত মুখার্জি: ৫ অক্টোবর ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ওডিআই বিশ্বকাপ। প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হবে গত বারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এবং গত বারের রানার্স আপ নিউজিল্যান্ড। ইতিমধ্যেই ভারতে এসে পৌঁছে গিয়েছে সমস্ত দল। ওয়ার্ম আপ ম্যাচও খেলে ফেলেছে তারা। ইতিমধ্যেই আইসিসি-র তরফে আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপের ধারাভাষ্যকারদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়ে গিয়েছে। সেই তালিকাতে জায়গা করে নিয়েছেন প্রাক্তন পিসিবি প্রধান রামিজ রাজাও। আর এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়েই তাঁকে কার্যত একহাত নিয়েছেন প্রাক্তন পাকিস্তান বোলার দানিশ কানেরিয়া। তাঁর মতে, ভারতের বিরুদ্ধে হম্বিতম্বি করেও পয়সার লোভেই বিশ্বকাপে ধারাভাষ্য দিতে ওদেশে যাচ্ছেন রামিজ রাজা।

প্রসঙ্গত একটা সময়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের একটা সময়ে চেয়ারম্যান ছিলেন রামিজ রাজা। সেই সময়ে তাঁর দাবি ছিল, ওডিআই বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে আসা উচিত নয় পাকিস্তানের। কারণ, সেই সময়ে এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ নিয়ে একটা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সূচি অনুযায়ী, পাকিস্তান আয়োজক দেশ থাকলেও ভারত সফরে যেতে রাজি হয়নি বলেই এশিয়া কাপের সহ আয়োজন করেছিল শ্রীলঙ্কা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা বলেছিলেন রামিজ রাজা। তার পরে অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে। পিসিবির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যেতে হয়েছে রামিজ রাজাকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছেন জাকা আশরাফ। সেই রামিজ রাজাই একেবারে ৩৬০ ডিগ্রি ভোলবদল করে ফেলেছেন। আইসিসি আয়োজিত ওডিআই বিশ্বকাপে ধারাভাষ্যকার হিসাবে তিনি আসছেন ভারতে।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দানিশ কানেরিয়া বিষয়টি নিয়ে বলেছেন, ‘এই রামিজ রাজাই তো একদিন বলেছিলেন যে, ভারতে ওডিআই বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া উচিত নয় পাকিস্তানের। রামিজ রাজাই বলেছিলেন পাকিস্তান খেলতে যাবে না ভারত। তার পরেও উনি ভারতে ধারাভাষ্য দিতে যাচ্ছেন। সবটাই তো উনি করছেন পয়সার জন্য, তাই না। বেশ তো বড় বড় কথা বলেছিলেন। এখন সেই সব কোথায় গেল? আমি মনে করি, ওই ভাবে যখন বড় কথা আমি বলছি, তখন সেই কথায় আমার দৃঢ় ভাবে থাকাটা প্রয়োজনীয়। এটা তো আত্মসম্মানের বিষয়। ধারাভাষ্য দেওয়ার অফার ওঁর প্রত্যাখান করা উচিত ছিল। অনন্ত যে বক্তব্য উনি রেখেছিলেন তার পর। এই ভাবে ইউ টার্ন নেওয়াটা একেবারেই ঠিক নয়।’