দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাকিস্তান হেরে বসার পরে বাবর আজমদের পাশে দাঁড়ালেন হজভজন সিং। পাক দলনায়ক যে বিষয়টিকে ম্যাচের অঙ্গ বলে খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতায় মেনে নেন, ভাজ্জি সেই বিষয়টিকেই বিতর্কের রূপ দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
হরভজন এক্ষেত্রে পাকিস্তানের হারের জন্য ‘খারাপ আম্পায়ারিং’ ও ডিআরএসে আম্পায়ার্স কলের ‘জঘন্য’ নিয়মকে দায়ি করেন। যদিও ম্যাচের শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাবর আজম স্পষ্ট জানান যে, আম্পায়ার্স কল হল খেলার অঙ্গ। কখনও সেটি প্রতিপক্ষের অনুকূলে যায়, আবার কখনও নিজেদের অনুকূলে। তাই সেটিকে মেনে নিতেই হবে।
কী ঘটেছিল ম্যাচে:-
জয়ের জন্য ২৭১ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা একসময় ২৬০ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে বসে। সুতরাং, শেষ উইকেটে জয়ের জন্য আরও ১১ রান দরকার ছিল তাদের। এই অবস্থায় ৪৫.৫ ওভারের খেলা হওয়ার পরে আম্পায়ার একটি ওয়াইড বলের সিদ্ধান্ত দেন, যেটি ব্যাটসম্যানের প্যাডে লেগেছিল। ফলে তেমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অতিরিক্ত হিসেবে ১ রান পেয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ঠিক তার পরেই ৪৫.৬ ওভারে ১১ নম্বর ব্যাটার শামসির বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউ-র আবেদান জানায় পাকিস্তান। আম্পায়ার আউট দেননি। পাকিস্তান রিভিউ নিলে বল ট্র্য়াকিংয়ে দেখা যায় যে, হ্যারিস রউফের বল লেগ স্টাম্পের বাইরের দিকে আঘাত করছিল। তবে আম্পায়ার এক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানকে নট-আউট ঘোষণা করায় আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যান শামসি। তাবরেজ সেই সময় আউট হলে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৬৩ রানে অল-আউট হয়ে যেত। শেষমেশ ৯ উইকেটে ২৭১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
হরভজন কী দাবি করেন:-
এক্ষেত্রে হরভজন সিং দাবি করেন যে, আম্পায়ারিং ভালো হলে এবং আইসিসির নিয়ম যদি যথাযথ হতো, তাহলে পাকিস্তানই ম্যাচ জিতত এদিন। টুইটারে ভাজ্জি লেখেন, ‘এই ম্যাচে পাকিস্তানকে খারাপ আম্পায়ারিং ও জঘন্য নিয়মের মাশুল দিতে হলো। আইসিসির এই নিয়মটা বদলানো দরকার। যদি বল স্টাম্পে লাগে, তাহলে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, (ডিআরএসে তৃতীয় আম্পায়ারের) আউট দেওয়া উচিত। তা না হলে প্রযুক্তি ব্যবহারের যৌক্তিকতা কোথায়?’
যদিও নেটিজেনদের অনেকে প্রশ্ন তুলছেন যে, যখন এই ম্যাচেই আম্পায়ার্স কলের শিকার হয়ে রাসি ভ্যান ডার দাসেনকে সাজঘরে ফিরতে হয়, তখন হরভজন চুপ ছিলেন কেন?
এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক গ্রেম স্মিথও ভাজ্জির টুইটের প্রতিক্রিয়া দেন। তিনি লেখেন যে, ‘ ভাজ্জি, আম্পায়ার্স কল নিয়ে আমারও মত তোমার মতোই। তবে রাসি ভ্যান ডার দাসেন ও দক্ষিণ আফ্রিকার অনুভূতিও কি একই হবে?’