অবশেষ কিছুটা নিঃশব্দে শুরু হয়েছে ওডিআই বিশ্বকাপ। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় গতবারের ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই একাধিক রেকর্ড তৈরি হয়। তবে সবচেয়ে বড় কথা হল, গতবারের চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল নিউজিল্যান্ড। এদিন ইংল্যান্ডকে তারা ৯ উইকেটে হারাল কিউয়ি ব্রিগেড।
টসে জিতে এদিন প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান তোলে। ইংল্যান্ডের হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন জো রুট। ৮৬ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। রুটের এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্য়ে। এছাড়াও জনি বেয়ারস্টো ৩৫ বলে ৩৩ রান করেন ৪টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। ইংল্যান্ড অধিনায়ক বাটলার ২টি বাউন্ডারি এবং ২টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে ৪২ বলে ৪৩ রান করে দলকে ২৮২ রান তুলতে সাহায্য করেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিন উইকেট নেন ম্যাট হেনরি। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার এবং গ্লেন ফিলিপস। একটি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট এবং রাচিন রবীন্দ্র।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন ডেভন কনওয়ে এবং রাচিন রবীন্দ্র। এই দুই ব্যাটারই শতরান করে দলকে জেতান। সেই সঙ্গে গড়েন একাধিক রেকর্ড। যদিও এদিনের শুরুটা খুব একটা ভালো করেনি নিউজিল্যান্ড। কারণ ইনিংসের শুরুতেই ফিরে যান উইল ইয়ং। খাতা খুলতে না পেরেই ফিরে যান। কিন্তু থেমে থাকেনি নিউজিল্যান্ড। সেখান থেকেই দলকে ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ নেন রবীন্দ্র এবং কনওয়ে। ধীরে ধীরে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান তারা। সেই সঙ্গে দুই ব্যাটারই শতরান করে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে দেন। কনওয়ে ১২১ বলে অপরাজিত ১৫২ রান করেন। তাঁর এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৯টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। রবীন্দ্র ৯৬ বলে অপরাজিত ১২৩ রান করেন। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১টি বাউন্ডারি এবং ৫টি ওবার বাউন্ডারির সৌজন্যে।
এই ম্যাচে একাধিক রেকর্ডও গড়েন এই দুই ব্যাটার। বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় উইকেটে বড় রানের পার্টনারশিপে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কনওয়ে-রবীন্দ্র জুটি। এই জুটি গড়ে ২৭২ রান। এই তালিকায় প্রথমে রয়েছে ক্রিস গেল এবং মার্লন স্যামুয়েলস। ২০১৫ বিশ্বকাপে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ৩৭২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তারা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাহুল দ্রাবিড় জুটি। এই দুই ভারতীয় ১৯৯৯ বিশ্বকাপের শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩১৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ডেভিড ওয়ার্নার এবং স্টিভ স্মিথ ২০১৫ বিশ্বকাপে ২৬০ রান করেন। পাঁচ নম্বরে রয়েছেন ফাফ ডু প্লেসি এবং হাসিম আমলা জুটি। ২০১৫ বিশ্বকাপে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ২৪৭ রান গড়ে।
শুধু তাই নয়, ভারতে খেলতে এসে সর্বাধিক পার্টনারশিপ গড়েন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফিঞ্চ এবং ওয়ার্নার জুটি যারা ভারতের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে ২৫৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। গিবস এবং কাস্টেন জুটি ভারতের বিরুদ্ধে ২০০০ সালে ২৩৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে। একই সঙ্গে এই তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ফিঞ্চ এবং ওয়ার্নার জুটি। ২০১৭ সালে ভারতের বিরুদ্ধে ২৩১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তারা।