২০২৪ মহিলা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচগুলি এবার শেষ ওভারের রোমাঞ্চ পর্যন্ত গড়াচ্ছে। শুক্রবার টুর্নামেন্টের প্রথম দিনই মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে রুদ্ধশ্বাস একটি ম্যাচ হয়েছে। শনিবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ইউপি ওয়ারিয়র্জকে ২ রানে হারাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।
শেষ ওভারে জিততে ইউপি ওয়ারিয়র্জের দরকার ছিল ১১ রান। বল করতে এসেছিলেন সোফি মোলিনাক্স। ক্রিজে ছিলেন তখন সোফি একলেস্টোন এবং দীপ্তি শর্মা। তাঁরা দু'জনে মিলে ৮ রান করলেও, জয়ের দরজায় দলকে নিয়ে যেতে পারেননি। মাত্র ২ রানে জয় ছিনিয়ে নেয় আরসিবি।
আরও পড়ুন: ও তো হিন্দি জানে না- বশিরকে স্লেজিং করতে গিয়ে পাল্টা বেকুব হলেন সরফরাজ- ভিডিয়ো
শোভনা আশা আরসিবি-র জয়ের রাস্তা আগেই সুগম করেছিলেন। একাই ৫ উইকেট নিয়ে ইতিহাস লিখেছেন শোভনা। তিনি প্রথম ভারতীয় বোলার হিসেবে মহিলা প্রিমিয়ার লিগে এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন। ব্যাঙ্গালোরের দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমে শোভনার দাপটে শুরুতেই চাপে পড়ে গিয়েছিল ইউপি ওয়ারিয়র্জ। ইউপি-র টপ অর্ডারের প্রথম ছয় ব্যাটারের মধ্যে পাঁচ জনকেই ফিরিয়েছেন তিরুবনন্তপুরমের কন্যা। শেষ ওভারে অবশ্য ৮ রান দিয়ে বাজিমাত করেন সোফি মোলিনাক্স।
টস জিতে প্রথমে আরসিবি-কে ব্যাট করতে পাঠায় ইউপি। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। সবিনয়েনি মেঘনা এবং রিচা ঘোষ হাফসেঞ্চুরি হাঁকান। মেঘনা তিনে নেমে সাতটি চার এবং একটি ছয়ের সৌজন্যে ৪৪ বলে ৫৩ রান করেন। রিচা ঘোষ আবার ৩৭ বলে ৬২ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। তাঁর এই ইনিংসে রয়েছে ১২টি চার। একটিও ছক্কা রিচা মারেননি। তৃতীয় সর্বোচ্চ রান আরসিবি অধিনায়ক স্মৃতি মন্ধানার। তিনি মাত্র ১৩ রান করেছেন। বাকিরা কেউ এক অঙ্কের গণ্ডিই টপকাননি। ইউপি-র হয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়।
আরও পড়ুন: বাঁ-হাতি ব্যাটার হিসেবে এক টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ রান, গুঁড়িয়ে দিলেন সৌরভ, গৌতমের নজির
১৫৮ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই কিছুটা নড়বড় করছিলেন ইউপি। তবু তারা লড়াই করেছিলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৫ রানেই শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন গ্রেস হ্যারিস (২৩ বলে)। শ্বেতা সেহরাওয়াত করে ৩১ রান (২৫ বলে)। ২২ রান করেন তাহিলা ম্যাকগ্রা। ১৮ রান করেন দীনেশ বৃন্দা। পুনম খেমনার ১৪ রান করেন। দীপ্তি শর্মা ১৩ করে অপরাজিত থাকেন। কিন্তু সেভাবে দায়িত্ব নিয়ে বড় ইনিংস কেউ খেলতে পারেননি। দলও ২ রানে ম্যাচ হেরে বসে থাকে। শোভনা আশা একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট।