তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতিতে প্রথমে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাড়া অন্যান্য সব পদের অবলুপ্তি ঘটানো হয়েছিল। পরে অবশ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং আরও বেশ কয়েকজনকে একাধিক পদ দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কটাক্ষ, ‘তৃণমূলে মাত্র দেড়খানা পদ রয়েছে। একটা মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং অপরটি হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যেহেতু ভাইপো তাই তাঁর আধখানা পদ।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় নদীয়ার কৃষ্ণনগর পুরসভার বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে প্রচারের সভায় যোগদান করে একথা বলেন সুকান্ত মজুমদার। এছাড়াও, একাধিক বিষয় নিয়ে এদিন একের পর এক তৃণমূলকে আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কয়লা পাচারকাণ্ড, গরুপাচার কাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কটাক্ষ, ‘ফর্সা ছেলেটা এখন হয়ে গেল কয়লা ভাইপো।’
এদিকে, পুরভোটে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে টিকিট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ নিয়েও তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের এক বড় নেতাকে পুরনির্বাচনে দল টিকিট না দেওয়ায় পরবর্তী সময়ে সাত কোটি টাকা খরচ করে নির্বাচনে দাঁড়ানোর টিকিট সংগ্রহ করেছেন।’
ভোটের প্রচারে গিয়ে দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় সিনেমা ‘পুষ্পা’ ছবির ডায়লগ তুলেও এদিন তৃণমূলকে আক্রমণ করতে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। ‘পুষ্পা’র ডায়লগ সংযোজন করে তিনি বলেন, ‘বিজেপি ঝুঁকেগা নেহি।’ শুক্রবার দুপুরে পুরসভার বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে নবদ্বীপ শহরে উপস্থিত হয়ে প্রথমে দলীয় পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। এরপর সরাসরি কৃষ্ণনগরে গিয়ে পৌঁছন সুকান্ত বাবু। এরপর কৃষ্ণনগর শহরের তিনটি পথ সভায় যোগদান করেন তিনি। আগামী দিনে দলের সংগঠনকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।