আজ, সোমবার চার পুরনিগমের ফলাফল প্রকাশ হতে চলেছে। এখন যা ট্রেন্ড তাতে সর্বত্রই এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে ঠিক তার আগে মনোনয়ন কাণ্ডের জেরে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী কমিটি থেকে সরে দাঁড়ালেন জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি চন্দন ভৌমিক। শনিবার দলের নির্বাচনী কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানে নির্দল প্রার্থীকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন চন্দন। আর জানান, দলের থেকে উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত তিনি নির্বাচনী কমিটিতে থাকবেন না।
কী কী প্রশ্ন রেখেছেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি? নির্বাচনী কমিটি থেকে সরে তিনি দুটি প্রশ্ন রেখেছেন। এক, দলের কোন নেতার নির্দেশে প্রশাসন বারবার মনোনয়ন দিতে বাধা দিয়েছে? দুই, কেন তারা হঠাৎ নির্দল প্রার্থীর ক্ষেত্রে অতিসক্রিয় হয়ে উঠল? এই মনোনয়ন কাণ্ড নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। দলের অন্দরে এমন কোন্দল নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
ঠিক কী বলেছেন চন্দন ভৌমিক? এদিন চন্দন বলেন, ‘আমাদের জানাতে হবে দলের কারও নির্দেশে জলপাইগুড়ির মতো সৌজন্য–সংস্কৃতির শহরের রাজনীতির বাতাবরণ দূষিত হচ্ছে না তো! আমি দলের কাছে দুটি প্রশ্ন রেখেছি। দুই প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব না পেলে আমার পক্ষে নির্বাচনী কমিটিতে কাজ করা সম্ভব নয়।’
এই ঘটনা পরিষ্কার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে আঙুল তুলছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে প্রথমবার পুলিশের কাছে বাধা পান বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়েই চন্দন ভৌমিক এবং বেশ কযেকজন প্রশ্ন তুলে নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে হই–হট্টোগোল করেন।