আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরেই পঞ্চায়েত ভোটের দিন। এদিকে ভোটের দিন, ভোটের আগে- পরে যাতে লোডশেডিং না হয় সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। আর সেই নিরিখে এবার পঞ্চায়েত ভোটের দিন অর্থাৎ ৮ জুলাই বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হল।
তবে সূত্রের খবর, ভোটের পরের দিন পর্যন্ত এই নির্দেশ লাগু থাকবে। কারণ লোডশেডিং যাতে না হয় সেটা নিশ্চিত করা বিদ্যুৎ দফতরের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
এদিকে নন্দীগ্রামে বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে অনেক সময়ই শাসক দলের নেতারা লোডশেডিংয়ে জেতা বিধায়ক বলে উল্লেখ করেন। অর্থাৎ তাঁরা অভিযোগ তোলেন লোডশেডিংয়ের সুযোগ নিয়ে তিনি ইভিএমে কারচুপি করেছিলেন। তার জেরেই জয় পেয়েছিলেন তিনি। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির।
তবে এবার আর পঞ্চায়েত ভোটে সেই সুযোগ নেই। কারেন্ট যাতে না যায় সেব্যাপারে সবরকম উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। ভোটের দিন যাতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় কোনও সমস্যা না হয় সেটা একেবারে তৃণমূলস্তরে নিশ্চিত করতে চাইছে বিদ্যুৎ দফতর। এদিকে পঞ্চায়েত ভোট মানেই গ্রামীণ ভোট। আর শহর কলকাতার পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকার কারেন্ট অফ তুলনায় বেশি হয়। কিন্তু ভোটের দিন কারেন্ট গেলে মহা সমস্যা। সেকারণেই আগাম প্রস্তুতি।
এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে যেভাবে হিংসার ঘটনা হয়েছে সেক্ষেত্রে এবার ভোটের দিনগুলোতেও হিংসা ছড়াতে পারে। তার মধ্যে যদি লোডশেডিং হয়ে যায় তবে ভোটবাক্সের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাবে। সেকারণেই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। লো টেনশন ও হাই টেনশন মোবাইল ভ্যানগুলোকে সর্বক্ষণের জন্য তৈরি রাখা হচ্ছে। নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিভিশনাল ম্যানেজার, রিজিওনাল ম্যানেজার, সহকারি ইঞ্জিনিয়ার, কাস্টমার কেয়ার কেন্দ্র, স্টেশন ম্যানেজাররা ভোটের দুদিন আগে থেকে কেউই তাঁদের সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব ছেড়ে যেতে পারবেন না। এদিকে কোনওভাবে বিদ্যুতের লাইনে, বা ট্রান্সফর্মারে সমস্যা দেখা দিলে টেকনিশিয়ানদের গাড়ি নিয়ে এদিক ওদিক ছুটতে হতে পারে। সেকারণে গাড়ি চালক ও টেকনিশিয়ানদের তৈরি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।