দিনহাটায় বিজেপি প্রার্থীর দেওরকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন। বাড়ির কাছেই রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। মৃতের নাম শম্ভু দাস। তাঁর বৌদি বিজেপি প্রার্থী বিশাখা দাস। বৌদি তথা বিজেপি প্রার্থী বিশাখার প্রস্তাবক ছিলেন শম্ভু। এই ঘটনাকে ঘিরে তৃণমূল -বিজেপি দ্বন্দ্ব চরমে। তৃণমূলের দাবি দিনহাটায় যে খুন হয়েছে তার পেছনে প্রেম পরকীয়ার ব্যাপার রয়েছে। তবে বিজেপির স্পষ্ট দাবি, এটা সম্পূর্ণভাবেই রাজনৈতিক খুন। পুলিশ ইতিমধ্যেই এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। কে বা কারা এর সঙ্গে যুক্ত তা দেখা হচ্ছে।
এদিকে গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। তিনি সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, নিশ্চিতভাবে চাইছি যাতে সাধারণ মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। আগের রেকর্ড দেখুন, যতবার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে, ভোটের শতাংশ ততবার বেশি হয়েছে। যার পক্ষেই রায় যাক না কেন। দীর্ঘদিন ধরে যেভাবে বাংলায় অরাজকতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা বন্ধ হোক। কেন্দ্রীয় সরকার কী ব্যবস্থা নেবে এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সময় উত্তর দেবে। সামনে সময় আসছে। নিশ্চিতভাবে কী হবে সেটা দেখতেই পাবেন। আগাম কিছু বলব না। সবে নিশ্চিতভাবে এজন্য় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে দিনহাটায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একের পর আসনে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে। তা নিয়ে নিশীথ প্রামাণিক বলেন, ভোট দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোট করাতে হবে। তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ভয় পাচ্ছে। সৎ সাহস থাকলে নির্বাচনে নামুন।দেখা যাবে মানুষের রায় কার পক্ষে যাবে। গণতন্ত্রণ শেষ কথা। রাজ্য সরকার ও কমিশন তৃণমূলের গুণ্ডাদের স্পেস দিতে চাইছে। দাবি নিশীথ প্রামাণিকের।
অন্যদিকে দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ জানিয়েছেন, যে খুন হয়েছে সে তো বিজেপিও করে না। খুনের পেছনে তো একটা মোটিভ তো থাকবে। কেন তৃণমূল ওকে খুন করতে যাবে। নিশীথ প্রামাণিক যেখানে যায় গণ্ডগোল পাকায়।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে বলছি, এখনও সময় আছে। আপনি এটা বন্ধ করুন। না হলে আগামী দিনে কিন্তু ভয়ঙ্কর সময় আসছে।
এদিকে প্রতিবার ভোট এলেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিনহাটা। ২০১৮ সালেও দেখা গিয়েছিল ভয়াবহ ছবি। ফের পঞ্চায়েত। ফের তপ্ত হচ্ছে দিনহাটা।