বাংলা নিউজ > ভোটযুদ্ধ > গ্রামের লড়াই > বিজ্ঞপ্তি সত্ত্বেও ভোটের কাজ থেকে নাম বাদ পড়েনি, কমিশনে চিঠি চিকিৎসকদের

বিজ্ঞপ্তি সত্ত্বেও ভোটের কাজ থেকে নাম বাদ পড়েনি, কমিশনে চিঠি চিকিৎসকদের

ভোটের ডিউটি থেকে অব্যাহতি চেয়ে চিঠি চিকিৎসকদের। প্রতীকী ছবি

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকার বলা হয়, মেডিক্যাল অফিসারদের ভোটের কাজে নিযুক্ত করা হচ্ছে। যেখানে যেখানে মেডিক্যাল অফিসারদের ভোটের কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের সেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। উল্লেখ্য, লোকবল কম থাকায় এবার শুধু চিকিৎসকদের নয়, প্রতিবন্ধী শিক্ষকদেরও ভোটের ডিউটি দেওয়া হয়েছে। 

পঞ্চায়েত নির্বাচনে মেডিক্যাল অফিসারদের অফিসারদের নির্বাচনের ডিউটি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেই কারণে বিজ্ঞপ্তি জারি করে, চিকিৎসকদের নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। সমস্ত জেলার শাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের চিঠি দিয়ে সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচনের কমিশনের অতিরিক্ত সচিব। শুধু তাই নয়, যে সমস্ত চিকিৎসকদের ইতিমধ্যেই নির্বাচনে কাজের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে অবিলম্বে তাদের নাম বাদ দিতে হবে বলেও জানায় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু, তারপরও দেখা যাচ্ছে অনেক জেলায় এখনও ভোটের ডিউটি থেকে মেডিক্যাল অফিসারদের নাম বাদ দেওয়া হয়নি।নির্দেশিকা সত্ত্বেও ভোটের ডিউটি থেকে চিকিৎসকদের নাম বাদ না দেওয়ায় তীব্র বিরোধিতা করেছে চিকিৎসকদের সংগঠনগুলি। এই মর্মে নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করার আবেদন জানালেন চিকিৎসকরা।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকার বলা হয়, মেডিক্যাল অফিসারদের ভোটের কাজে নিযুক্ত করা হচ্ছে। যেখানে যেখানে মেডিক্যাল অফিসারদের ভোটের কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের সেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। উল্লেখ্য, লোকবল কম থাকায় এবার শুধু চিকিৎসকদের নয়, ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ প্রতিবন্ধী শিক্ষকদেরও ভোটের ডিউটি দেওয়া হয়েছে। মেডিক্যাল অফিসারদের ভোটের ডিউটি থেকে অব্যাহতি না দেওয়া প্রসঙ্গে তীব্র সংকোচন করেছে কর্মরত চিকিৎসকদের সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম। এই মর্মে সংগঠনের তরফে আজ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সভাপতি ডা. দুর্গাপ্রসাদ চক্রবর্তী এবং সম্পাদক ডা. সজল বিশ্বাস জানান, ‘নির্বাচনী কাজের জন্য সরকারি চিকিৎসকদের ব্যবহার করা যাবে না, এই মর্মে গত ২০ জুন অতিরিক্ত নির্বাচন কমিশনার নির্দেশিকা জারি করেছিলেন। তাছাড়া যাঁদের নাম দেওয়া হয়েছে তাঁদের অব্যাহতি দিতে বলেছিলেন। তা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু জেলার জেলা শাসক চিকিৎসকদের নাম বাদ দেননি। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এরকম হলে জরুরী পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনিতেই স্বাস্থ্যদফতরে বিপুল সংখ্যক লোকের অভাব রয়েছে। কোনওভাবে কম সংখ্যক কর্মী নিয়ে কাজ চলছে। তারপরে ভোটের কাজে চিকিৎসকদের তুলে নিলে পরিষেবা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে। আজ নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে আমরা এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে আবেদন জানিয়েছি। এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত চিকিৎসকের নাম বাদ যায়নি অবিলম্বে তাঁদের নাম বাদ দিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করতে হবে।’

বন্ধ করুন