সিপিএম জমানার সঙ্গে যে কয়েকটি হাড়হিম শব্দ যুক্ত হয়ে রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল সাদা থান। এখনও এনিয়ে নানা চর্চা চলে বাংলা জুড়ে। বলা হয়ে থাকে বিগত দিনে বিরোধীদের বাড়িতে সাদা থান পাঠাতেন সিপিএমের দুষ্কৃতীরা। চোখ রাঙানির রূপান্তর। আর এবার তৃণমূল জমানাতেও ফিরল সেই বাম আমলের সাদা থানের ভয়াবহ স্মৃতি।
জয়নগর ১ ব্লকের চালতাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ব্যানার্জিচক গ্রামের ২৫৩ নম্বর বুথের প্রার্থী সুব্রত গায়েন। তিনি বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। আর অভিযোগ তাঁর বাড়িতেই নাকি সাদা থানা, মিষ্টি, ফুলের মালা এসব পাঠানো হয়েছে। বৃদ্ধা, অসুস্থ মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় সাদা থান। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ মানতে চাননি।
ভোটে দাঁড়ালে পরিস্থিতি কী ভয়াবহ হতে পারে সেটা বোঝাতেই এই ধরনের সাদা থান পাঠানোর নজির ছিল বাম আমলে। এমনটাই অভিযোগ করতেন বিরোধীরা। এবার তারই পুনরাবৃত্তি হল পঞ্চায়েত ভোট। একেবারে হাড়হিম ঘটনা।
এদিকে ঘটনার পর থেকে একেবারে আতঙ্কে কাঁটা হয়ে রয়েছে গোটা পরিবার। আতঙ্কে বাড়ি ছাড়া সুব্রত গায়েন। এদিকে সুব্রতর স্ত্রী এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন। এমনকী সুব্রতর হয়ে যারা প্রচার করছিলেন, তাদেরও নানাভাবে হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বাম আমলে এই সাদা থান পাঠানোর একটা চল ছিল বলে বিরোধীরা বার বার অভিযোগ তোলেন। মূলত ভোটে দাঁড়ালে স্ত্রীকে বিধবা হতে হবে এই হুমকি বোঝানোর জন্য়ই এসব করা হত। একেবারে নীরব সন্ত্রাস। বিরোধীদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হত সাদা থান। এরপর আর ভোটে দাঁড়ানোর সাহস পেতেন না বিরোধীরা। একেবারে হাড়হিম চুপ সন্ত্রাস। ফের জয়নগরে ফিরল সেই হাড়হিম সেই সাদা থানের স্মৃতি।
তবে এবার গোটা ঘটনায় সিপিএমের দিকে আঙুল তুলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সংবাদমাধ্যমে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, এর পেছনে সিপিএম থাকতে পারে। এসব তো সিপিএম আমলে হত।