পঞ্চায়েত ভোটপর্বে বাসের সংখ্যা কমতে পারে। এবার বড় আশঙ্কার কথা সামনে এল। পরিবহণ সংগঠনগুলি ইতিমধ্য়েই এনিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। সব মিলিয়ে একে তো ভোটের হিংসার জেরে আতঙ্ক বাড়ছে বাংলা জুড়ে। এবার রাস্তাতেও ভোগান্তির আশঙ্কা। এবার দেখা যাক ঠিক কেন বাংলা জুড়ে বাসের সংখ্য়া কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে?
আগামী ৮ জুলাই ভোট। গণনা হবে ১১ জুলাই। কার্যত বাংলা জুড়ে বিরাট কর্মসূচি। কেন্দ্রীয় বাহিনীও আসতে পারে বাংলায়। সব মিলিয়ে একেবারে সাজো সাজো রব। তার মধ্য়েই ভোটকর্মী, পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তাদের নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দিতে হবে। সেকারণে তাদের যাতায়াতের জন্য পরিবহণ ব্যবস্থা থাকা দরকার।
মূলত বাসে করেই তাদের যাতায়াত করতে হয়। সেকারণে প্রতি বছরই ভোটপর্বে প্রচুর বাসের প্রয়োজন হয়।এবারও তার অন্যথা হওয়ার কথা নয়। তবে যে পরিমাণ পুলিশ ভোট কর্মী আর কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন হবে তাতে শুধু সরকারি বাস দিয়ে কিছু হবে না। সেকারণে প্রচুর বেসরকারি বাসের প্রয়োজন। ভোটের বেশ কিছুদিন আগে থেকে এবারও বেসরকারি বাস তুলে নেওয়া হতে পারে।
এদিকে এনিয়ে ইতিমধ্য়েই আশঙ্কায় দিন গুনতে শুরু করেছেন বাসের মালিকরা। কারণ কেন্দ্রীয় বাহিনী যতদিন থাকবে ততদিন বাসও তাদের থাকতে পারে তাদের সঙ্গে। আবার বাসে করে ভোটকর্মীদের পৌঁছে দেওয়া, তাদের নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্যও প্রচুর বেসরকারি বাসের প্রয়োজন হয়। এবারও তার অন্য়থা হওয়ার কথা নয়। সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে দিন কয়েক ভোগান্তি হতে পারে যাত্রীদের। তবে সমস্যা যাতে কম হয় সেব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছে পরিবহণ দফতর।
এব্যাপারে আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া বক্তব্য়ে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আমরা জেনেছি রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে। রাজ্য পুলিশের জন্যও বাস লাগবে। যারা ভোটের কাজ করবেন তাঁদের জন্যও বাসের প্রয়োজন হবে। এত সংখ্য়ায় বাস লাগলে রাজ্য বাস শূন্য় হয়ে যাবে। নিয়ম অনুসারে যত দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা রাজ্যে থাকবেন ততদিন বাসগুলি তাদের জন্য আটকে রাখা হবে, এমনটা হলে আমরা সাধারণ মানুষকে বাস পরিষেবা দেব কীভাবে? প্রশ্ন বাস সিন্ডিকেটের কর্তার।
তবে যাত্রীদের একাংশের মতে, প্রতিবারই ভোট এলে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। এটার সঙ্গে মানিয়ে নেন সাধারণ মানুষ। যে কয়েকটা বাস রাস্তায় থাকবে তাতেই বাদুড়ঝোলা ভিড় হবে। সেক্ষেত্রে এবার হাতে সময় নিয়ে বের হওয়াটাই দরকার।