এবার পঞ্চায়েতর প্রচারে বেরিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। রবিবার সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের বড়গ্রামে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। অভিযোগ, আবাস যোজনার ঘর থেকে জল কিছুই পাননি তাঁরা। জোটেনি একটা ত্রিপলও।
এদিন শতাব্দী বড়গ্রামে পৌঁছলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, আবাস যোজনার ঘর পাননি। রাস্তার অবস্থা বেহাল। পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে পাইপ পাতা হলেও তাতে জল আসে না। ১০০ দিনের কাজ করে টাকা পাননি। যাদের জমি রয়েছে, তারা কৃষক ভাতা পেলেও অন্যান্য বঞ্চিত। এলাকায় নিকাশি নালা নেই। যার ফলে অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে। এলাকায় একটি সেতুর দাবি থাকলেও সেটা এখনও হয়নি।
অভিযোগ শুনে শতাব্দী রায় বলেন, সরকারের একটা বাজেট থাকে। অনেকের পরিবারে ২ – ৩ জন ঘর পেয়েছেন, যিনি পাননি তিনি বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। আমি যেগুলো সম্ভব দিতে বলেছি। তবে সব দিতে পারব সেকথা বলিনি। সেতুর ব্যাপারটা খতিয়ে দেখব। ওটা কোন দফতরের অধীনে সেটা আগে জানতে হবে।
বলে রাখি, এর আগে দলীয় কর্মসূচি পালনে গ্রামে গিয়ে একাধিকবার বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন শতাব্দী রায়। তাঁর সামনে নানা অভাব অভিযোগের কথা তুলে ধরেছেন স্থানীয়রা। সাধ্যমতো তার সমাধানও করেছেন সাংসদ।