২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিঙ্গুরের মাটিতে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে নিরাশ করল না সিঙ্গুর। সেখানে ১৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে সবকটিতেই জয়ী হল ঘাসফুল। পাশাপাশি পোলবা দাদপুর ব্লকেও ১২টির মধ্যে ১২টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সিঙ্গুরের বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছে তৃণমূল। সেগুলি হল সিংহেরভেড়ি, খাসের ভেড়ি, বাজেমেলিয়া, গোপালনগর, বেড়াবেরি গ্রাম পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েতগুলিতে দুই একটি আসনে জয় পেয়েছে বিরোধীরা। বাকি আসনগুলিতে শুধুই তৃণমূল ঝড়।
আরও পড়ুন: শান্তনু ঠাকুরের বুথেও জিততে পারল না BJP! ‘অভিষেককে অপমানের ফল’, বলল তৃণমূল
২০০৬ সালে টাটার ন্যানো গাড়ির কারখানা তৈরিকে কেন্দ্র করে সিঙ্গুরে জমি আন্দোলন শুরু হয়েছিল। সেই সময় কৃষকদের আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হাত ধরে এই গোটা রাজ্যে জমি আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল ২০০৮ সালে। তখন সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর থেকে ২০০৯ সালে লোকসভা ভোট, ২০১০ পুরসভা ভোট, ২০১১ ও ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও সিঙ্গুর মুখ ফেরায়নি তৃণমূলের থেকে। কিন্তু, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কিছুটা পিছিয়ে ছিল। তবে ২০২১ সালে বিধানসভায় সিঙ্গুর থেকে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী।
সিঙ্গুরে পঞ্চায়েত সমিতিতে ৪৮ টি আসন রয়েছে। তারমধ্যে ৪৭ টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। একটিতে জয় পেয়েছে সিপিএম। হরিপালের পঞ্চায়েত সমিতিতে
৪৫ টি আসনের মধ্যে সবকটিতে জয় পেয়েছে তৃণমূল। এখানে ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যেও সবকটিতেই জয়ী হয়েছে ঘাসফুল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে হিংসার ঘটনা ঘটলেও সিঙ্গুরে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলতে পারিনি বিরোধীরা। ফলে এখানে মানুষের রায়ে ঘাসফুল জয়ী হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বে। তৃণমূলের বক্তব্য, ‘সিঙ্গুরের বাসিন্দারা যেভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের উপর ভরসা রেখেছে। তাতে আমরা কৃতজ্ঞ।’ তৃণমূল মন্ত্রী বেচারাম মান্নাও সিঙ্গুরবাসীর প্রতী কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। বেচারাম মান্না জানান, ‘এই জয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জয়। তৃণমূল সিঙ্গুরে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। তাই সিঙ্গুরের মানুষ উন্নয়নকেই বেছে নিয়েছেন।’ সিঙ্গুরবাসীর আশীর্বাদ সবসময় তৃণমূলের সঙ্গে ছিল বলে তিনি জানান।