পঞ্চায়েত নির্বাচনের ডিউটি সেরে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত হলেন এক পুলিশকর্তা। মারাত্মক জখম হয়েছেন তিনি। হরিশ্চন্দ্রপুরে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হলেন ডিএসপি ট্রাফিক বিপুল বন্দ্যোপাধ্যায়। পাথরের আঘাতে ফাটিয়ে দেওয়া হয় মাথা। মালদার ডিএসপি ট্রাফিক বিপুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায় কে বা কারা হামলা চালাল সেটা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে জেলা পুলিশমহলে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এখন মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই পুলিশ কর্তা।
এদিকে শনিবার সারাদিন পঞ্চায়েত নির্বাচনের ডিউটিতে ব্যস্ত ছিলেন ডিএসপি ট্রাফিক বিপুল বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর দু’নম্বর ব্লকের ইসলামপুরে ডিউটি করছিলেন তিনি। তারপর কাজ সেরে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, তখনই বস্তা এলাকায় তাঁর গাড়িতে হামলা করা হয়। প্রথমে চারিদিক থেকে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া শুরু হয়। তারপর জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি এটিএম রফিকুল ইসলামের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এমনকী গাড়ি ভেঙেছে রাজ্যের মন্ত্রী তাজমুল হোসেনেরও।
পুলিশ ঠিক কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন রাত ১০টা নাগাদ ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভোট পরিদর্শন করে ডিএসপি ট্রাফিক বিপুল বন্দ্যোপাধ্যায় ও দেহরক্ষীরা মন্ত্রী তাজমুল হোসেনের গাড়িকে এসকর্ট করে নিয়ে আসছিলেন। বস্তা গ্রামে একদল দুষ্কৃতী ডিএসপি ট্রাফিক বিপুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি ও মন্ত্রীর এসকর্টের উপর হামলা চালায়। পাথর ও ইটের টুকরো ছুড়ে ভেঙে দেওয়া হয় গাড়ির জানালা। তবে অনুমান করা হচ্ছে এই ঘটনা ঘটাবার জন্য বিহার থেকে দুষ্কৃতী নিয়ে এসে হামলা করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মালদায় সদ্যজাত কন্যার নাম রাখল পরিবার ’মমতা’, নেপথ্যে উঠে এল একাধিক কারণ
আর কী জানা যাচ্ছে? পাথরের আঘাতে গুরুতর জখম হন ডিএসপি ট্রাফিক। মাথা ফেটে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে যায়। রক্তাক্ত ওই অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা করা হয়। তবে কে বা কারা হামলা চালাল এখন সেটাই খুঁজে দেখছে পুলিশ। রাজনৈতিক মদতে এমন হামলা হয়েছে কিনা সেটাও দেখা হচ্ছে। কেন ডিএসপি ট্রাফিক হামলাকারীদের টার্গেট হলেন সেটাও ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশকে। কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে থাকা সত্ত্বেও পুলিশ দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হয়েছেন। তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? উঠছে প্রশ্ন।