পঞ্চায়েত নির্বাচন যতটা গুরুগম্ভীর হল নির্বাচনের পরের আবহ ততটাই রসিকতায় ভরে গেল। অনেকে এই রসিকতাকে লেগপুলিং বলে থাকে। রাজ্য–রাজনীতির অলিন্দে যে এমন চেহারা নেবে তা অবশ্য কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। তাও আবার যুযুধান প্রতিপক্ষের মধ্যে। আর এই পিছনে লাগার অস্ত্রটি নিজের অজান্তেই তুলে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেটা যথাযোগ্য মর্যাদায় ব্যবহার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। যিনি কিছুদিন আগে ‘গেট ওয়াল সুন’ গ্রিটিংস কার্ড বাড়িতে পাঠিয়েছিলেন। এমনকী ভোর ৫টা থেকে এই কথাটি লিখে শুভেন্দুর ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ করার ব্যবস্থা করেছিলেন। তাতে ক্ষেপে গিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।
এবারের আঙ্গিকটা একটু অন্যরকম। তবে হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যাওয়ার উপক্রম করেছেন কুণাল ঘোষ। গতকাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে রাগের চোটে ভুল ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ব্যস, সেটাকেই আজ, রবিবাসরীয় সকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহার করে শুভেন্দুকে হাসির খোরাক করে তুলেছেন কুণাল ঘোষ। ঠিক কী বলেছিলেন শুভেন্দু? রাজ্য নির্বাচন কমিশনে তালা ঝোলাতে গিয়ে প্রথমে তিনি গেটে লাথি মারেন। তারপরই চিৎকার করে এক অফিসারকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘হু ইজ ইউ’। ব্যস, খুব সযত্নে এটা তুলে নেন কুণাল। আর ভুল ইংরেজি ব্যবহার নিয়ে খোরাক করতে থাকেন।
এদিকে ভুল ইংরেজি ব্যবহার করার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এখন রাস্তাঘাটে, নেটপাড়ায় একে অন্যকে জিজ্ঞাসা করছেন, হু ইজ ইউ? আর এই মন্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা মন্তব্য করেছেন কুণাল ঘোষ। তাতে গোটা নেটপাড়া হাসতে শুরু করেছে। আগে একবার এমন ঘটনা ঘটেছিল। আন্দোলন করতে নেমে মহিলা পুলিশকর্মীকে শুভেন্দু বলেছিলেন, ডোন্ট টাচ মাই বডি। আই অ্যাম মেল। ইউ আর ফিমেল। তখনও তিনি হাসির খোরাক হয়েছিলেন কুণাল ঘোষের কাছে। কুণাল বলেছিলেন, দেখুন কি অবস্থা! নিজে যে পুরুষ সেটা নিজেকেই চিৎকার করে বলতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পৃথক দল গড়ার ডাক দিলেন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, মুরগির মাংস দিয়ে অনুগামীদের ভূরিভোজ
এবার ঠিক কী বলছেন কুণাল? এবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জোর ক্ষেপিয়ে তুলেছেন শুভেন্দুকে। শুভেন্দুর মেজাজ হারানোর ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে কুণাল ঘোষ খোঁচা দিয়ে লেখেন, ‘হু ইজ ইউ! ওওওওও শুভেন্দু, ওটা হু আর ইউ হবে তো। মাথার কী অবস্থা!! ওওওও শুভেন্দু, সোনারপুরে দাঁড়িয়ে সেদিন বললে, নেতাজির জন্মভূমি সোনারপুর। নন্দীগ্রামে রেগে গাড়ির জানলা দিয়ে নামতে যাচ্ছিলে। কাল বললে, হু ইজ ইউ। তোমার কুন কুন জাগায় ব্যথা গো? এখনই ইতিহাস, ইংরেজির টিউটর রাখো। রক্তচাপের ওষুধ খাও। আর অবশ্যই মনোবিদ দেখাও।’ এইসব কথা শুনে নেটপাড়া এখন হাসছে। বিরোধী দলনেতার কোনও প্রতিক্রিয়া নেই।