ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়াচ্ছেন সুপারস্টার দেবই। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর নাম ঘোষণা করবেন স্বয়ং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করতে নিজে খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না দেব। কিন্তু তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে ঘাটাল থেকে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন মমতা এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকও হয় দেব। সেখান থেকে সোজা চলে যান মমতার কালীঘাটের বাড়িতে। তারপর আর তাঁদের অনুরোধ ফেলতে পারেননি। তৃণমূলের নম্বর ‘ওয়ান’ এবং নম্বর ‘টু’-র কথায় ঘাটাল থেকেই তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়াবেন বলে মনস্থির করে ফেলেছেন টলিউডের সুপারস্টার। যিনি ইতিমধ্যে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে ২০১৪ সাল এবং ২০১৯ সালে জিতেছেন। এবার হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে ময়দানে নামবেন।
তবে দেব যে ঘাটাল থেকে এবারও দাঁড়াচ্ছেন, সেটা শনিবার নিজেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার যেখানে সংসদে কার্যত নিজের 'ফেয়ারওয়েল' ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখান থেকে শনিবার অভিষেক এবং মমতার সঙ্গে বৈঠকের পরে দেব বলেছিলেন যে ‘আমি রাজনীতিকে ছাড়লেও রাজনীতি আমায় ছাড়বে না।’ তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে ঘাটাল থেকে এবার লড়ছেন দেবই। ঘোষণাটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। আর রবিবার রাতের দিকে ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’-র কাছে এক্সক্লুসিভ খবর এসেছে যে সোমবারই সেই ‘শুভ’ কাজটা সেরে ফেলা হবে।
সেইসবের মধ্যেই আবার নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একটি মন্তব্য নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। দেব যে তৃণমূলের টিকিটে ঘাটাল থেকে দাঁড়াচ্ছেন, সেটা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরে শুভেন্দু বলেন, ‘দেবকে সিবিআই ডেকেছিল। নিজাম প্যালেসে গিয়েছিল। দেবকে ইডি ডেকেছিল। এনামুলের সঙ্গে লিঙ্ক আছে বলে। সাংবাদিকদের লুকিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে দিল্লিতে ইডি অফিসে গিয়েছিল। ইডি অফিস আর সিবিআই অফিসের বিষয়টা কিন্তু মিটে যায়নি। চোর তৃণমূলের কী মিটেছে, সেটা আমার ভাবার বিষয় নয়। সাফ করব আমরা।’
আর শুভেন্দুর সেই মন্তব্যের পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি ঘুরিয়ে বিজেপি নেতা হুঁশিয়ারি দিলেন যে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হওয়ায় দেবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তৎপরতা বাড়তে চলেছে? যদিও বিষয়টি খোলসা করতে চাননি স্বয়ং শুভেন্দু। তিনি শুধুমাত্র দেবকে দু'লাখ ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন।