দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে গোয়ায় লড়াই করেছেন মহুয়া মৈত্র ডেরেক ও'ব্রায়েনরা। বিজেপির ধাঁচেই অন্য দল ভাঙিয়ে গোয়ায় নিজেদের দল ভারী করেছিল তৃণমূল। তবে এই সবের মাঝেও ভোট ঘনিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে দলের চিড়। এরই মাঝে মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সঙ্গে জোট গড়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গিয়ে সেই রাজ্যে জোটের হয়ে প্রচার করেছেন। এরই মধ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের কথা হলেও পরবর্তীতে দুই দলের দ্বন্দ্বে সেই জোট হয়নি। এই আবহে কিংমেকারের ভূমিকায় নিজেদের দেখতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।
সকালে পোস্টাল ব্যালটের গণনা শুরু হতেই প্রাথমিক ট্রেন্ডে দেখা যায় যে তৃণমূল-এমজিপি জোট চারটি আসনে এগিয়ে। এদিকে কংগ্রেস-গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির জোট এগিয়ে গিয়েছে ২০টি আসনে। ৪০ আসন বিশিষ্ট গোয়ায় ম্যজিক ফিগার ২১। এই আবহে কংগ্রেস একা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায় তাহলে রাজনৈতিক ভাবে তা তৃণমূলের জন্য হার। তবে যদি কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ২১-এর নিচে থাকে, তাহলে তাতে দর বাড়বে তৃণমূলের।
এদিকে এমজিপির সঙ্গে ফের একবার বিজেপির জোট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই আবহে তৃণমূল নিজের জোট বাঁচিয়ে রাখার দিকেও বিশেষ নজর দেবে। তৃণমূল একক ভাবে যদি কোনও আসন জিততে পারে, তাহলে তা বড় সাফল্য হবে ঘাসফুল শিবিরের জন্য।