আগামী শুক্রবার এপ্রিল প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। তার ৪৮ ঘন্টা আগে প্রচারের একেবারে শেষ লগ্নে এসে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দিনহাটার ভেটাগুড়ি। তৃণমূলের অভিযোগ বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালানোর সময় অতর্কিতে কয়েকশো বিজেপি কর্মী তাদের উপর চড়াও হয়। তাদের লক্ষ্য করে পাথর তীর ছুড়তে থাকে। তাতে এক তৃণমূল কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুনঃ ‘বি কুল’, উদয়ন গুহকে সতর্ক করে নিশীথ প্রামাণিককে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী
তৃণমূলের অভিযোগ, এদিন বিজেপির ছোড়া তীরের আঘাতে আহত হয়েছেন সম্রাট মোদক নামে এক তৃণমূল কর্মী । এ বিষয়ে তৃণমূলের নেতা জয় ঘোষ বলেন, ‘আমরা শেষ দিনের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষদের কাছে প্রচার চালাচ্ছিলাম। তখন অতর্কিতে ভেটাগুড়িতে বিজেপি কর্মীরা আমাদের ওপর আক্রমণ চালায়। রেললাইনের পাথর ছুড়তে থাকে। এমনকী তীর দিয়েও হামলা চালানো হয়। আহত সম্রাট মোদককে দিনহাটা হাসপাতালে ভরতি করা হয়।’
এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের দিকেই আঙুল তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। কেন্দ্র এবং রাজ্যের পুলিশের সামনেই মিছিলে হামলা হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ কিছুই করল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উদয়ন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা প্রচার করতে গিয়েছিল। তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তাদের মারধর করা হয়েছে, অথচ পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের দিনহাটা থানার পুলিশ যেমন দাঁড়িয়ে ছিল তেমনি কেন্দ্রের পুলিশও দাঁড়িয়েছিল।’
এরপরেই বিরোধী এবং নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘বিরোধীরা শুধু বলে যে তৃণমূলের পুলিশ। রাজ্য সরকারের পুলিশ তৃণমূলের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং পক্ষপাতিত্ব করে। এখন আমি দেখতে পাচ্ছি রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণে পুলিশ নেই।’ পালটা নির্বাচন কমিশনকে নাম না করে তাঁর কটাক্ষ, ‘যাদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আছে তাদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। না হলে পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে একটা রাজনৈতিক দলের গাড়ি কীভাবে ভাঙচুর করে।’
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের কাছে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের আর্জি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাকে গৃহবন্দি করলে মানুষের মনে যা প্রতিক্রিয়া হবে সেটা ভোটের সময় বুঝতে পারবে। আমি কিছু করিনি বারবার আমি আক্রান্ত হয়েছি অথচ আমাকে গৃহবন্দি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। গৃহবন্দি করলে বুঝবে কত ধানে কত চাল।’
এদিকে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, বাইরের কিছু দুষ্কৃতী, শান্ত ভেটাগুড়িকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। ভোট প্রচারের নামে কিছু দুষ্কৃতী সেখানকার মহিলাদের অশ্লীল ভাষায় কথা বলেছে। তাই এলাকার মানুষ তাদের উপর চড়াও হয়। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই।