সুরাট লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী নীলেশ কুম্ভানির মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গিয়েছে। তাঁর তিন প্রস্তাবক দাবি করেছেন যে তাঁদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। একইভাবে, সুরাট থেকে কংগ্রেসের বিকল্প প্রার্থী সুরেশ পদশালার মনোনয়ন ফর্মও অবৈধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে সুরাট কেন্দ্রে কংগ্রেসের কোনও প্রার্থী থাকছে না।
রিটার্নিং অফিসার সৌরভ পারধি জানিয়েছেন, কুম্ভানি ও পদশালার জমা দেওয়া তিনটি মনোনয়ন ফর্মে প্রস্তাবকদের স্বাক্ষরে প্রাথমিকভাবে গরমিল পাওয়া যায় এবং তা খারিজ হয়ে যায়। পারধির নির্দেশে বলা হয়েছে, প্রস্তাবকরা হলফনামার মাধ্যমে নিজেরাই ফর্মে সই করতে অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন। দেশের সম্পদ মুসলিমদের দেওয়ার কথা বলেছিলেন মনমোহন? মোদীর দাবির সত্যতা কতটা?
বিধি অনুযায়ী প্রস্তাবকের ভূমিকা কী?
নির্বাচনী মনোনয়ন বিধিমালা অনুযায়ী, কোনও প্রার্থী কোনও স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে ওই আসনের একজন ভোটারকে তাঁদের প্রার্থিতার প্রস্তাব দিতে হয়। তবে প্রার্থী যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অথবা নিবন্ধিত কিন্তু স্বীকৃতিহীন রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তাহলে নির্বাচনী এলাকা থেকে দশজন নির্বাচককে অবশ্যই প্রস্তাবক হিসেবে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে।
নিয়ম অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসারকে প্রস্তাবকদের স্বাক্ষর যাচাই করতে হবে। যদি যাচাই করা পর রিটার্নিং অফিসার সিদ্ধান্ত নেন যে স্বাক্ষরটি আসল নয়, যেমনটি কংগ্রেস প্রার্থীর ক্ষেত্রে করা হয়েছে, তবে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাবে। উপরন্তু, যে ব্যক্তি জাল স্বাক্ষর বা বুড়ো আঙুলের ছাপ নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হবে।
তবে বিধিমালায় বলা হয়েছে, প্রার্থীকে এই মামলা লড়ার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে হবে।
আর পড়ুন। নির্বাচনের পরের দিনই মারা গেলেন উত্তর প্রদেশের বিজেপি প্রার্থী কুঁয়ার সর্বেশ
হাইকোর্টে যাবে কংগ্রেস
কংগ্রেসের লিগাল সেলের প্রতিনিধি বাবু মাঙ্গুকিয়া বলেন, ‘দীনেশ কুম্ভানি এবং সুরেশ পদশালার মনোনয়ন ফর্ম বাতিল করা হয়েছে কারণ, চার প্রস্তাবক জানিয়েছেন, যে ফর্মগুলিতে স্বাক্ষর তাদের নয়। মাঙ্গুকিয়া আরও বলেন, পরবর্তী পদক্ষেপ হবে উচ্চ আদালত ও সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে আইনি আশ্রয় নেওয়া।’
এদিকে, কংগ্রেস নেতা জামির শেখ, প্রস্তাবকদের এই স্বাক্ষর অস্বীকারের পিছনে ভয় কাজ করছে বলে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গতকাল সমর্থকরা বলেছে, তারা কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেনি। আমাদের যুক্তি হল, সমর্থকরা কেন মিথ্যা বলছেন এবং কোন হুমকির মধ্যে রয়েছেন, তা যাচাই না করেই আমাদের প্রার্থী নীলেশ কুম্ভনির মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। হাইকমান্ড একটি বিকল্প সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে।’
আরও পড়ুন। মমতাকে কেন গ্রেফতার করে না? TMC-BJP জোট সরকার হবে বাংলায়, নতুন 'সেটিং' নিয়ে হাজির অধীর