কার সঙ্গে কার সেটিং হচ্ছে তা নিয়ে ধন্ধে পড়ে গিয়েছেন রাজ্যবাসী। কিছুতেই এর তল পাওয়া যাচ্ছে না। সেই পরিস্থিতিতে এবার মুখ খুললেন কংগ্রেস নেতা তথা বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সিপিএমের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, কেন কেন্দ্রীয় এজেন্সি এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে গ্রেফতার করছে না? তারা অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করছে, কিন্তু মমতা ও অভিষেককে গ্রেফতার করছে না। প্রশ্ন তুলেছেন অধীর চৌধুরী। সিপিএম নেতাদের পাশে বসিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, পরের বার ভোটে তৃণমূল আর বিজেপি বাংলায় একযোগে সরকার তৈরি করবে।
অধীরের এই বক্তব্য শোনার পরে অনেকেই হতবাক। আসলে সেটিং ঠিক কার সঙ্গে কার সেটাই যেন গুলিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবাসীর।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আবার দক্ষিণদিনাজপুরের কুমারগঞ্জে অন্য় কথা বলেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, ‘সিপিএম শুনেছি জলপাইগুড়িতে, আমাকে সাংবাদিকরা বলেছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলেছে তোমাদের ভোটটা ফরওয়ার্ড ব্লককে দেবে না, ভোটটা দিয়ে দাও বিজেপিকে। তাদের আপনারা ভোট দেবেন। কংগ্রেসও তাই। শুধু ভোট কাটার জন্য় দেখে দেখে দাঁড়িয়েছে। ভাবছে মুসলিম ভোটটা যদি ভাগ করা যায়, তাতে বিজেপি কংগ্রেসের ভোট নিয়ে, সিপিএম কংগ্রেসের ভোট নিয়ে আমরা যদি আবার জিতে যাই। ’
এখানে তিনি মূলত বামের ভোট রামের বাক্সে পড়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন। আবার অধীর চৌধুরী কার্যত ইঙ্গিত দিয়েছেন তৃণমূল ও বিজেপির মধ্য়ে তলায় তলায় সেটিং আছে। এমনকী আগামী দিনে তারা বাংলায় এক সঙ্গে সরকার গড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
এবার দেখা যাক অমিত শাহ ঠিক কী বলেছেন?
আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শিলিগুড়িতে তিনি জানিয়েছেন, এই রাজ্য থেকে ৩০-৩২টি আসন পাবেন বলেই আশা করছেন তিনি।
এদিকে সাধারণ মানুষের মধ্য়ে একটা কথা প্রায়ই ঘুরে ফিরে আসছে যে হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে বিজেপির কোথাও একটা বোঝাপড়া রয়েছে। যার জেরে বার বার দুর্নীতির মাথাদের কথা উল্লেখ করা হলেও বাস্তবে কাজের কাজ কিছু হয় না। তবে আনন্দবাজারের কাছে এনিয়েও মুখ খুলেছেন অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে ডিল-এর কোনও প্রশ্নই নেই। এই সরকারকে শিকড়সুদ্ধ উপড়ে ফেলাই বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য। সেই পরিপ্রেক্ষিতের সন্দেশখালির প্রসঙ্গ আনেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, যে সরকার ভোট রাজনীতির জন্য সন্দেশখালির মতো ঘটনা চলতে দেয়, তাদের সঙ্গে ডিল-এর কোনও প্রশ্নই নেই।