ভোটগ্রহণের পরদিনই মৃত্যু হল বিজেপি প্রার্থী কানওয়ার সরবেশ কুমারের। শুক্রবার তাঁর লোকসভা কেন্দ্র মোরাদাবাদে ভোটগ্রহণ হয়। আর শনিবার চিকিৎসার সময় অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে (এইমস) তাঁর মৃত্যু হয়েছে। শুধু তাই নয়, শনিবার বিকেলে ৪ টে ৪৫ মিনিটে ফেসবুক পেজ থেকে উত্তরপ্রদেশের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় সফল হওয়া প্রার্থীদের শুভেচ্ছাবার্তাও পোস্ট করা হয়েছিল। কিন্তু রাতের দিকে তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন মোরাদাবাদ সিটির বিজেপি বিধায়ক রীতেশ গুপ্তা। তিনি জানিয়েছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মোরাদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের ৭২ বছরের বিজেপি প্রার্থীর। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও।
তিনি বলেন, 'মোরাদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী এবং প্রাক্তন সাংসদ কানওয়ার সরবেশ কুমারজির প্রয়াণের খবরে আমি হতবাক। বিজেপি পরিবারের জন্য এটা অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর শোকস্তব্ধ পরিবারের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি। ভগবান শ্রীরামের কাছে প্রার্থনা করব যে তাঁর (বিজেপি প্রার্থী) বিদেহী আত্মাকে যেন তাঁর (শ্রীরাম) পায়ের কাছে ঠাঁই দেন এবং এই বেদনা সহ্য করার যেন ক্ষমতা প্রদান করেন তাঁর পরিবারের সদস্য এবং তাঁর অনুগামীদের।'
কী হয়েছিল মোরাদাবাদের বিজেপি প্রার্থীর?
উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি ভূপেন্দ্র চৌধুরী বলেছেন, ‘কানওয়ার সরবেশ কুমার প্রয়াত হয়েছেন। গলায় কিছু সমস্যা ছিল ওঁনার। অপারেশন করা হয়েছিল। গতকাল চেক-আপের জন্য উনি এইমসে গিয়েছিলেন।’ অর্থাৎ নিজের কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের দিন হাসপাতালে চেক-আপের জন্য গিয়েছিলেন।
কানওয়ার সরবেশ কুমারের ইতিবৃত্ত
১) ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোরাদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন কানওয়ার। কিন্তু ২০১৯ সালে সেই কেন্দ্র থেকেই হেরে গিয়েছিলেন। পাঁচ বছর আগে সমাজবাদী পার্টির এসটি হাসানের কাছে পরাজিত হলেও ২০২৪ সালে তাঁকে মোরাদাবাদ থেকেই টিকিট দেয় বিজেপি।
২) দীর্ঘদিনের বিধায়কও ছিলেন কানওয়ার। মোরাদাবাদের ঠাকুরদ্বারা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পাঁচবার জিতেছিলেন। অর্থাৎ পাঁচবারের বিধায়ক ছিলেন। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বিধায়ক ছিলেন কানওয়ার। আবার ২০১২ সালে জিতেছিলেন। ২০১৪ সালে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন।
৩) কানওয়ারের স্ত্রী, এক মেয়ে এবং এক ছেলে আছেন।