২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে হুগলি সাক্ষী থাকছে 'তারকার লড়াইয়ের'। বিজেপি এই আসন থেকে বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কেই টিকিট দিয়েছে। এদিকে এবারে এই আসনে তৃণমূল 'দিদি নম্বর ১' খ্যাত রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টিকিট দিয়ে চমকে দিয়েছে সবাইকে। দুই দলের প্রার্থীই ইতিমধ্যে প্রচারে নেমে পড়েছেন। এরই মাঝে ভোটারদের মন জয় করতে রচনা 'দিদি নম্বর ১'-এ আমন্ত্রণের 'প্রতিশ্রুতি' দিয়েছেন। আর এবার 'দিদি নম্বর ১'-এর উল্লেখ করেই রচনাকে কটাক্ষ করলেন প্রতিপক্ষ লকেট। (আরও পড়ুন: ওয়াশিং মেশিনে 'ধোয়া হচ্ছিল' ২.৫ কোটি টাকা! কলকাতা সহ বহু জায়গায় হানা দিয়ে ধরল ED)
আরও পড়ুন: 'কঙ্গনা হিমাচলের কন্যা, ওঁর বাবা কংগ্রেসে ছিলেন', বিতর্কে জল ঢালতে আসরে সুখু
এর আগে হুগলির তৃণমূল প্রার্থী তথা ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রিয়েলিটি শোয়ের সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, লোকসভা ভোটে হুগলি আসন থেকে তিনি জয়ী হলেই হুগলির মহিলারা তাঁর অনুষ্ঠানে ডাক পাবেন আগে। এদিকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এরকম প্রতিশ্রুতি পরেই তীব্র কটাক্ষ করেছেন ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রচনাকে তোপ দেগে লকেট বললেন, 'মানুষের সেবার জন্য আসেননি উনি। টিকিট পেয়েছেন। তাই এসেছেন। হেরে যাবেন। তখন আবার দিদি নম্বর ওয়ান চলবে। সেখান থেকে কয়েক দিনের জন্য ছুটি নিয়ে এসেছেন। রাজনীতিতে আসতে গেলে ত্যাগ করতে হয়। আমি ১০ বছর সব কিছু ত্যাগ করে এসেছি। টিকিট না-পেয়ে শুধু মানুষের জন্য সেবা করুক এসে। ত্যাগ করেই আমি এসেছি।' (আরও পড়ুন: ইডেনে ছক্কা হাঁকানো ইউসুফের হয়ে পিচে নামছেন মমতা, অঙ্ক কষে ব্যাট চালাচ্ছেন পাঠান)
আরও পড়ুন: 'ব্লক ১ থেকে ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম', সকাল সকাল হাওড়া শাখায় ব্যাহত রেল পরিষেবা
এর আগে সিঙ্গুরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'আমি যদি এখানে জিতি তাহলে সব থেকে বড় কাজ যেটা হবে সেটা হল আমি জি বাংলার সঙ্গে বসব। বসে বলব, হুগলির দিদিদের আগে ডাকতে হবে আমার অনুষ্ঠানে। আমি বলব, যদি আমাকে দিদি নম্বর ওয়ান করতে চাও, তাহলে হুগলির যে মানুষরা আমাকে জিতিয়েছেন, সেই হুগলি জেলার মানুষদের আগে ডাকতে হবে। তারপরে বাকি সব দিদিরা আসবেন। আমি সব রকম ভাবে চেষ্টা করব।' রচনার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দোলের দিন লকেট বলেছিলেন, 'মানুষ দিদি নম্বর ওয়ান চায় না। মানুষ শিল্প চায়, কর্মসংস্থান চায়, কৃষি যায়। মানুষ সুরক্ষা চায়। টিভিতে গিয়ে দিদি নম্বর ওয়ানে গিয়ে কী হবে। দিদি নম্বর ওয়ান একটা অভিনয়ের পাঠ। আজকের দিনে যে সমস্যা, দুর্নীতি তা মানুষ চায় না। মানুষ তোলাবাজি, সিন্ডিকেট চায় না। লুটেরারাজের সরকার চায় না। আমার লজ্জা লাগে এখানে তৃণমূল এরকম একজনকে প্রার্থী করল যার কোনও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই। এটা খুব খারাপ লাগে।' আর মঙ্গলবার ফের একবার 'দিদি নম্বর ওয়ান' প্রসঙ্গ টেনে রচনাকে কটাক্ষ করলেন লকেট।