মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল আলিপুরে। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল এবং সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা। এদিন যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার, দক্ষিণ কলকাতা, মথুরাপুর এবং জয়নগরের পাঁচ বাম প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময় সামনাসামনি চলে আসে দুই দলের মিছিল। তাতে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষ। তবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকায় তা নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হয় পুলিশকে। এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: আইএসএফের ডেরায় ঢুকে মানুষের মন জয় করলেন সৃজন, বাক্যবাণ সহ্য করে বার্তা, ‘আমি আছি’
আজ বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান বামফ্রন্ট মনোনীত ও জাতীয় কংগ্রেসের সমর্থিত সিপিআইএম প্রার্থী যাদবপুরের সৃজন ভট্টাচার্য, ডায়মন্ড হারবারে প্রতিকুর রহমান, দক্ষিণ কলকাতা সায়রা শাহ হালিম। এছাড়াও মথুরাপুরের শরৎচন্দ্র হালদার এবং জয়নগরের সমরেন্দ্রনাথ মণ্ডল এদিন আলিপুরের ট্রেজারি বিল্ডিং এবং জেলাশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যান। তার আগে পাঁচ প্রার্থী এবং সিপিআইএম, কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরা জমায়েত করে হাজরা মোড়ে। সেখান থেকে একটি মিছিল বের করে তারা জেলা শাসকের অফিসের দিকে এগোতে থাকে। সেই সময় তৃণমূলেরও মিছিল বেরিয়েছিল।
দুপক্ষের মিছিল সামনাসামনি চলে আসায় বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়। দুপক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে স্লোগান পালটা স্লোগান দিতে শুরু করে। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে জেলা শাসকের কার্যালয়ে পৌঁছে মনোনয়ন জমা দেন ৫ প্রার্থী। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে আগামী দিনে সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকার জন্য দুর্নীতি বিরুদ্ধে এবং দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার শপথ নেন তাঁরা।
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য তাদের সময় দেওয়া হয়েছিল সকাল ১০ টায়। অন্যদিকে, দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী মালা রায় এবং যাদবপুরে তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ধার্য হয়েছিল বেলা ১২ টায়। কিন্তু, তা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন না থাকায় উঠেছে প্রশ্ন। মনোনয়ন জমা দিয়ে এদিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সৃজন বলেন, ‘আমরা আজ পাঁচ প্রার্থী মিলে মনোনয়ন জমা দিয়েছি। তৃণমূল এবং বিজেপির ভোট কমেছে। আমরা জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।’