কাঙ্কের লোকসভা কেন্দ্রটি ছত্রিশগড় জেলার মোট ১১টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম। মহানদীর তীরে উত্তর ছত্রিশগড়ে এই কেন্দ্রটি অবস্থিত। ১৯৬৭ সাল থেকেই এই কেন্দ্রটিতে লোকসভা ভোট অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বর্তমানে এই আসনটি তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। মোট আটটি বিধানসভা কেন্দ্রের সমন্বয়ে কাঙ্কের লোকসভা কেন্দ্র গঠিত। ২০১৯ সালের তথ্য বলছে প্রায় ১৪ লক্ষ ৪৮ হাজার ৩৭৫ জন ভোটার ছিল গত লোকসভা নির্বাচনে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির মোহন মাণ্ডবী কাঙ্কের লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৬৭ সালে ভারতীয় জনসংঘের পক্ষ থেকে ত্রিলোক লাল শাহ এই কেন্দ্রে সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অরবিন্দ নেতাম জয়ী হয়েছিলেন। এর পরবর্তী সময়ে ১৯৭৭ সালে আগান সিং ঠাকুর জনতা দলের টিকিটে এই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন।
১৯৮০ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত এই কেন্দ্রটি জাতীয় কংগ্রেসের দখলে থাকে পরপর চারটি নির্বাচনে অরবিন্দ নেতাম জয়লাভ করেন এই কেন্দ্র থেকে। ১৯৯৮ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম এই কেন্দ্রটি জাতীয় কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়। ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে সোহান পোতাই ১৯৯৮ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত পরপর চারবার এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী ফুলদেবি নেতামকে ৩.৪ শতাংশ ভোটে পরাজিত করে সাংসদ নির্বাচিত হন বিক্রম সেন্দি।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থীকে ১ শতাংশ কম ভোটে পরাজিত করে মোহন মাণ্ডবী এই কেন্দ্র থেকে সাংসার নির্বাচিত হন। এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ছত্রিশগড়ের ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল। সিহাওয়া, সানজারি বলদ, ডন্ডি লোহারা, গুন্ডার দেহি এবং ভানুপ্রতাপপুর কেন্দ্র পাঁচটিতে জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। অন্যদিকে আন্তাগড়, কাঙ্কের এবং কেশকাল কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীরা জয়ী হন। বিধানসভা কেন্দ্রগুলির মধ্যে সানজারি বলদ এবং গুন্ডারদেহি বাদে বাকি ছটি কেন্দ্র তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। সার্বিকভাবে এই লোকসভা কেন্দ্রটিতে ভারতীয় জনতা পার্টি জাতীয় কংগ্রেসের টক্কর সমানে সমানে।